আফগানিস্তান সরকার ও তালেবানের মধ্যে সংঘাত নিরসনে তুরস্কে অনুষ্ঠেয় বৈঠকে তিন ধাপে শান্তি প্রক্রিয়ার প্রস্তাব দেবেন দেশটির প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি। নির্বাচনের আগে তালেবানের সঙ্গে চুক্তির মাধ্যমে স্থিতিশীল পরিস্থিতিতে পৌঁছতে বৈঠকে তিনি ওইসব প্রস্তাব দিতে যাচ্ছেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাত দিয়ে সোমবার আল জাজিরার প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
চলতি মাসে তুরস্কের আমন্ত্রণে ও জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় আফগান সরকার ও তালেবানের মধ্যে শান্তিচুক্তি চূড়ান্ত হওয়ার কথা। ১ মে আফগানিস্তান থেকে বিদেশি সব সেনা প্রত্যাহার করা হচ্ছে। তার আগেই আফগান সরকার ও তালেবানের মধ্যে শান্তিচুক্তি সম্পাদনে চাপ দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
তুরস্কে আফগান সরকার ও তালেবান যাতে শান্তিচুক্তি চূড়ান্ত করতে পারে, তার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে আগেই কিছু প্রস্তাব দেয়া হয়। এর মধ্যে তালেবানের প্রতিনিধিসহ দেশটির কর্মকর্তাদের নিয়ে অর্ন্তবর্তী প্রশাসন গঠনের মাধ্যমে নতুন আইনি ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা অন্যতম। শান্তিচুক্তি চূড়ান্ত করার লক্ষ্যে ঘানির তিন প্রস্তাবের কোনোটিতেই এমনটা বলা নেই। বরং যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন আফগান প্রেসিডেন্ট।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বৈঠকে প্রথম ধাপে রাজনৈতিক মীমাংসা ও আন্তর্জাতিক নজরদারির মধ্যে থাকা যুদ্ধবিরতির বিষয়ে মতৈক্যে পৌঁছানোর প্রস্তাব দিবেন ঘানি।
দ্বিতীয় ধাপে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন দেয়া, ‘শান্তির পক্ষে সরকার’ প্রতিষ্ঠা এবং নতুন রাজনৈতিক কাঠামো বাস্তবায়নের প্রস্তাব থাকবে। আর শেষ ধাপে আফগানিস্তানের জন্য ‘সাংবিধানিক কাঠামো প্রতিষ্ঠা, শরণার্থীদের ফের একত্রীকরণ ও উন্নয়নের’ বিষয় অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
আফগানিস্তানের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, প্রেসিডেন্ট ঘানি এরই মধ্যে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে তার শান্তি প্রস্তাবের রোডম্যাপ আলোচনা করেছেন।
আফগান সরকার ও তালেবানের মধ্যে বৈঠকের তারিখ এখনও নির্ধারিত হয়নি। তবে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে বিভিন্ন সূত্রের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে।