ভারতের ছত্তিশগড়ে মাওবাদীদের হামলায় কমপক্ষে ২২ নিরাপত্তারক্ষী নিহত হয়েছেন। নিখোঁজ রয়েছেন তিন জন।
ছত্তিশগড় রাজ্যের রাজধানী রায়পুর থেকে প্রায় ৪০০ কিলোমিটার দূরে বিজাপুর জেলায় শনিবার হতাহতের এ ঘটনা ঘটে। ছত্তিশগড়ের পুলিশ মহাপরিচালক (নকশাল অপারেশনস) অশোক জুনেজা রোববার এ খবর নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘শনিবার সংঘর্ষের পর পাঁচ সেনার মরদেহ পাওয়া গিয়েছিল। রোববার সকালে আরও ১৭ জনের মরদেহ পাওয়া গেছে।’
নিরাপত্তা বাহিনীর যৌথ দলের দুই হাজারেরও বেশি সদস্য শনিবার সকালে মাওবাদীদের দূর্গ হিসেবে পরিচিত বিজাপুর ও সুকমা জেলায় অভিযান চালায়। এ সময় যৌথ বাহিনীর সঙ্গে প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে মাওবাদীদের গোলাগুলি চলে। এক পর্যায়ে জঙ্গলে পালিয়ে যায় মাওবাদীরা।
এদিকে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের (সিআরপিএফ) মহাপরিচালক কুলদীপ সিংকে ছত্তিশগড় সফরের নির্দেশ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এক টুইট বার্তায় অমিত শাহ বলেন, ‘ ছত্তিশগড়ে মাওবাদীদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে শহীদ হওয়া আমাদের সাহসী নিরাপত্তা কর্মীদের আত্মত্যাগের প্রতি আমি প্রণাম জানাই। জাতি তাদের বীরত্ব কখনই ভুলতে পারবে না। শীঘ্রই আহত জওয়ানরা সুস্থ্ হয়ে উঠুক, সে কামনা করছি।’
টুইট করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেদ্র মোদিও। তিনি বলেন, ‘ ছত্তিশগড়ে মাওবাদীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নিহত ও আহত সেনাদের পরিবারের সঙ্গে আমার চিন্তাভাবনা ছিল। সাহসী শহীদদের আত্মত্যাগ কখনই ভোলা যাবে না।’
গত দশদিন নির্দিষ্ট খবরের ভিত্তিতে নিষিদ্ধ সিপিআইয়ের (মাওবাদী) অন্যতম শীর্ষ নেতা মাডভি হিদমার সন্ধানে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে যৌথ বাহিনী।
হিদমা ২০১৩ সালে ঝিরাম ঘাঁটিসহ বেশ কয়েকটি বড় হামলার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ছত্তিশগড় কংগ্রেসের প্রবীণনেতাসহ ৩০ জনেরও বেশি মানুষ ওই হামলায় নিহত হয়েছিলেন।
চলতি সপ্তাহে ছত্তিশগড়ের নারায়ণপুর জেলায় ড্রিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড (ডিআরজি) বাহিনীর সদস্যবাহী একটি বাসে মাইন হামলা চালায় মাওবাদীরা। এ ঘটনায় পাঁচ জন নিহত ও ১৪ জন আহত হন।