দুই দিনের ব্যবধানে ভারতের মহারাষ্ট্রের নাগপুরে একটি হাসপাতালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত দুইজন রোগী ‘আত্মহত্যা’ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। দুই জনেরই মৃত্যু হয়েছে সেখানকার গর্ভমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে (জিএমসিএইচ)।
সোমবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে হাসপাতালটির কোভিড ওয়ার্ডের একটি বাতরুমের ভেতর পুরুষোত্তম গজভিয়ে নামে ৮১ বছর বয়সী এক ব্যক্তির মরদেহ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় স্থানীয় আজনি থানায় মামলা হয়েছে। গজভিয়ে ২৫ মার্চ কোভিড ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছিলেন।
একই হাসপাতালের প্রথম ফ্লোরে মঙ্গলবার সকালের দিকে বসন্ত কুটে নামে ৬৮ বছর বয়সী আরও একজন করোনারোগীর মরদেহ পাওয়া যায়। বলা হচ্ছে, তিনিও আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন। এ ঘটনায়ও অজনি থানায় মামলা হয়েছে।
অবশ্য পুলিশ জানিয়েছে, কুটে গত ৩০ বছর ধরে কিডনিতে পাথরজনিত রোগে ভুগছিলেন।
কুটের ছেলে বিবেক দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেন, ‘তিনি মানসিকভাবে খুব অস্থিরতার মধ্যে ছিলেন। কারণ আমার ভাই, তার স্ত্রী ও তাদের ১১ বছরের ছেলে সন্তান সবাই করোনারোগী। আমার মাও করোনায় আক্রান্ত। বিষয়টি কাউকে তিনি জানাননি। ভোরের দিকে তিনি আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন।’
বিবেক আরও বলেন, ‘২৬ মার্চ আবার বাবা করোনায় পজিটিভ হন এবং পরের দিন থেকে তার চিকিৎসা চলছিল। আমাকে বলেছিলেন, তার প্রস্রাবে অনেক জ্বালাপোড়া হচ্ছে। দোল উৎসবের কারণে গত দুই দিন সবকিছু বন্ধ থাকায় আমি তার জন্য তেমন কিছুই করতে পারিনি।’
ভারতের করোনার সংক্রমণ আবার বাড়তির দিকে। নাগপুরেই শনাক্তের সংখ্যা ৪০ হাজার ছুঁইছুঁই। আর ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যানুযায়ী, পুরো ভারতে শনাক্ত ছাড়িয়েছে এক কোটি ২১ লাখ। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৬২ হাজারের বেশি মানুষের।