ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আসন্ন বাংলাদেশ সফরে দুই দেশের মধ্যে বহুমুখী সহযোগিতা নিয়ে কয়েকটি চুক্তি সই হবে।
বাণিজ্য, বিপর্যয় মোকাবিলাসহ কিছু বিষয়ে চুক্তি ছাড়াও বাণিজ্য, বিদ্যুৎ, রেলওয়ে, সীমান্ত ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন-সংক্রান্ত বহু বিষয়ে নতুন ঘোষণা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বুধবার সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্রসচিব হর্ষবর্ধন শৃংলা।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফর দুই দেশের সম্পর্কে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে।
বহু আলোচিত তিস্তা পানিবণ্টন চুক্তি নিয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে পররাষ্ট্রসচিব বলেন, ‘তিস্তা চুক্তি করতে ভারত প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
সম্প্রতি দুই দেশের পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের বৈঠকের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘শুধু তিস্তাই নয়, দুই দেশের মধ্যে প্রবাহিত অন্যান্য নদীর ব্যবস্থাপনা নিয়েও আলোচনা চলছে।’
শৃংলা বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে আমন্ত্রণ এসেছে। এটি ভারতের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের সার্বিক পালাবদলে বঙ্গবন্ধুর অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তাকে ‘গান্ধী শান্তি পুরস্কার’ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত সরকার। ভারত ১৯৭১ সালের চেতনা জাগ্রত রাখা জরুরি বলেই মনে করে।’
দুই দিনের সফরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধ পরিদর্শন করবেন। গোপালগঞ্জের ওড়াকান্দি ও সাতক্ষীরায় দুটি মন্দিরেও যাবেন তিনি।
ওড়াকান্দি মতুয়া সম্প্রদায়ের প্রতিষ্ঠাতা হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্মস্থান। পশ্চিমবঙ্গে ভোটারদের বড় অংশ মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষ। পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতা দখলের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দল বিজেপি এবার সর্বশক্তি নিয়োগ করেছে।