পাকিস্তানে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, লুটপাট, অপহরণ ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের দায়ে দুইজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে দেশটির আদালত।
লাহোরের বিশেষ আদালত শনিবার এ রায় দেয় বলে বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন আবিদ মেহলি ও সাফকাত আলি। আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে বলে জানিয়েছে তাদের আইনজীবী।
২০২০ সালের ৯ সেপ্টেম্বর লাহোরের অদূরে পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত এক ফরাসি নারী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন।
অভিযোগে বলা হয়, গাড়ির জ্বালানি ফুরিয়ে গেলে দুই সন্তান নিয়ে রাস্তায় আটকে পড়েন ওই নারী। এ সময় দুই পথচারী তাদের গাড়ির কাচ ভেঙে শুরুতে স্বর্ণালংকার লুট করে। পরে দুই সন্তানের সামনে ধর্ষণ করা হয় ওই নারীকে। পরে ভুক্তভোগী নারী ও ৩৬ সাক্ষীর সাক্ষ্যের ভিত্তিতে ওই দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
ঘটনার পরদিন লাহোর পুলিশের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ওমর শেইখ গণমাধ্যমের সামনে ধর্ষণের জন্য ওই নারীকে দায়ী করে বিবৃতি দেন। তিনি প্রশ্ন তোলেন ব্যস্ত রাস্তা ছেড়ে কেন তিনি নীরব রাস্তা বেছে নিয়েছিলেন, যেখানে সন্তানদের নিয়ে তিনি একা ছিলেন।
ওই সময় গাড়িতে ওঠার আগে জ্বালানি নিশ্চিত না করায় ওই নারীকে প্রশ্নের মুখে ফেলেন পুলিশ কর্মকর্তা ওমর শেইখ।
পুলিশের এমন বক্তব্যে পাকিস্তানজুড়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিবাদ জানায় অনেকে। এক পর্যায়ে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে বিক্ষোভে যোগ দেয়। ভুক্তভোগীর ন্যায়বিচার ও নারী নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি ওঠে বিক্ষোভে।
সেই বিক্ষোভের মুখে নারী নির্যাতন আইন কঠোর করে পাকিস্তান সরকার। ধর্ষণের বিচার দ্রুত ও কঠিন সাজা রাখা হয় নতুন আইনে।