যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী জো বাইডেনের বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিকর বা অসমর্থিত অভিযোগ তুলে হস্তক্ষেপের চেষ্টা করেছিল রাশিয়া সরকার।
সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ও তার প্রশাসনের মিত্রের মাধ্যমে দেশটি এ কাজে লিপ্ত ছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা ডিরেক্টর অফ ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স (ডিএনআই) স্থানীয় সময় মঙ্গলবার দেশটির গত বছরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বহির্বিশ্বের হস্তক্ষেপ-সংক্রান্ত ১৫ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সেখানে এসব তথ্য উল্লেখ করা হয়।
প্রতিবেদনে অভিযোগ করা হয়, ২০২০ সালের ৩ নভেম্বরের নির্বাচনে বাইডেনের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের মিত্রদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছিল মস্কো। অন্যদিকে নির্বাচনে ট্রাম্পের সমর্থন কমাতে ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছিল ইরান।
এ ছাড়া বাইডেনকে নির্বাচনে জেতাতে চীন হস্তক্ষেপ করছে, এমন প্রচারও হাজির করেছিল ট্রাম্পের সমর্থকেরা। তবে প্রতিবেদনে এমন দাবি নাকচ করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক স্থিতিশীল করতে চেয়েছিল চীন। নির্বাচনে হস্তক্ষেপের ক্ষতিকর প্রভাব বিবেচনায় ঝুঁকি নিতে চায়নি পূর্ব এশিয়ার দেশটি।
আল জাজিরার প্রতিবেদক মাইক হানা বলেন, প্রতিবেদনে স্পষ্ট করে উল্লেখ করা হয়েছে, ভোটার রেজিস্ট্রেশন, ভোটিং প্রক্রিয়া বা ভোট গণনার ক্ষেত্রে কোনো ধরনের ‘প্রযুক্তিগত হস্তক্ষেপ’ হয়নি।
হানা বলেন, ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের অবকাঠামোয় কোনো সাইবার হামলার চেষ্টা করেনি রাশিয়া, যা তারা ২০১৬ সালের নির্বাচনে করেছিল। প্রতিবেদনে যা ছিল, তা সবই বিভিন্ন দেশের প্রভাব খাটানোর বিষয়।
যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা প্রতিবেদনে বলেন, নির্বাচনে ট্রাম্পের বিপক্ষে প্রভাব খাটাতে চেয়েছিল কিউবা, ভেনেজুয়েলা ও লেবাননের শিয়া মুসলমানদের সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহ। তবে তাদের উদ্যোগ রাশিয়া বা ইরানের চেয়ে কম ছিল।
গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা বলেন, ‘আমাদের পর্যালোচনা, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পকে হারাতে বিভিন্ন উদ্যোগের সমর্থন করেছিলেন হিজবুল্লাহর মহাসচিব হাসান নাসরাল্লাহ।’
নির্বাচনে ট্রাম্পকে হারিয়ে চলতি বছরের ২০ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতায় বসেন জো বাইডেন।