বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

দেড় বছর পর স্কুলে কাশ্মীরের শিক্ষার্থীরা

  •    
  • ১৬ মার্চ, ২০২১ ২০:৩৯

শিক্ষার্থীরা জানান, তাদের নিয়মিত তাপমাত্রা মাপা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, প্রতি ২০ মিনিট পর পর হাত স্যানিটাইজ করা এবং মাঝে মাঝে হাত ধুতে হচ্ছে। এসব সমস্যা সত্ত্বেও অনলাইন ক্লাসের থেকে এটি ভালো।

দেড় বছরের বেশি সময় বন্ধ থাকার পর খুলতে শুরু করেছে ভারতের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু-কাশ্মীরের বিদ্যালয়গুলো।

২০১৯ সালের আগস্টে অঞ্চলটির রাজ্য মর্যাদা বাতিল ও আধা-স্বায়ত্ত্বশাসন ক্ষমতা কেড়ে নেয়ার পর এবং করোনাভাইরাস মহামারির কারণে ২০২০ সালের মার্চে ধারাবাহিক লকডাউন জারি হয় ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে। যার জেরে এক বছর আট মাস বন্ধ ছিল উপত্যকার সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

দীর্ঘ লকডাউনের পর মুসলিম অধ্যুষিত রাজ্যটিতে মার্চ মাসের শুরু থেকে ধাপে ধাপে চালু হতে শুরু করে স্কুল। ১ মার্চ থেকে নবম থেকে দ্বাদশ এবং ৮ মার্চ থেকে অষ্টম পর্যন্ত সব শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য স্কুল খুলে দেয়া হয়। যদিও যে সব শিক্ষার্থীর অভিভাবকদের সন্তানদের স্কুলে পাঠানোর ব্যাপারে আপত্তি নেই, শুধু তাদের নিয়েই স্কুলের কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

দীর্ঘদিন পর বিদ্যালয়ে ফিরতে পেরে খুশি বেশিরভাগ শিক্ষার্থী। সন্তানদের স্বাস্থ্য নিয়ে অভিভাবকদের উদ্বেগ দূর করতে শিক্ষার্থীদের সুরক্ষায় নানা ব্যবস্থা নিয়েছে বিভিন্ন স্কুল কর্তৃপক্ষ। বিদ্যালয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের প্রবেশের সময় তাদের দেহের তাপমাত্রা পরীক্ষা করা হচ্ছে। নিয়মিত হাত ধোয়া ও সামাজিক দূরত্ব মানায়ও রাখা হচ্ছে কড়াকড়ি।

২০১৯ সালের ৫ আগস্ট জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের পর বিক্ষোভ এড়াতে অঞ্চলটি জুড়ে জারি করা হয় লকডাউন। যার আওতায় বন্ধ ছিলে স্কুল-কলেজসহ সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। পরবর্তীতে ফেব্রুয়ারি মাসে লকডাউন শিথিল করে স্কুল খুলে দেয়া হলেও করোনা মহামারির কারণে মার্চে আবার তা বন্ধ হয়ে যায়।

স্কুল খোলার পর দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী আলেনা ওয়াসিম বলেন, ‘আমরা স্কুল ও বন্ধুদের থেকে দূরে ছিলাম, যা আমাদের মানসিক স্বাস্থের ওপর প্রভাব ফেলছিল। কথা বলার মতো কাউকে না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়ছিলাম।’

স্কুলে ফিরলেও অবশ্য অপরিচিত পরিস্থিতিতেই পড়তে হয়েছে শিশুদের। বিধিনিষেধের জেরে কোথাও জড়ো হওয়া, বন্ধুদের জড়িয়ে ধরা, হইহল্লা করার উপায় নেই। তবে এতেও তাদের কোনো অভিযোগ নেই। সরাসরি ক্লাস করা এবং বন্ধু ও শিক্ষকদের সঙ্গে দেখা করার উপায় হওয়াতেই খুশি তারা।

শিক্ষার্থীরা জানান, তাদের নিয়মিত তাপমাত্রা মাপা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, প্রতি ২০ মিনিট পর পর হাত স্যানিটাইজ করা এবং মাঝে মাঝে হাত ধুতে হচ্ছে। এসব সমস্যা সত্ত্বেও অনলাইন ক্লাসের থেকে এটি ভালো।

কাশ্মীরে ধারাবাহিকভাবে করোনা রোগীর সংখ্যা হ্রাসের পরই স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

করোনা মহামারি শুরু হওয়ার পর জম্মু ও কাশ্মীরে প্রায় ১ লাখ ২৫ হাজার রোগী শনাক্ত হয়। মারা গেছেন ১ হাজার ৯৫০ জনের বেশি। তবে এখন করোনা রোগীর সংখ্যা ৯০০-তে নেমেছে।

এ বিভাগের আরো খবর