যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা সদর দপ্তর পেন্টাগন ইউক্রেনে আকাশ প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র ও গোলাবারুদের কিছু চালান স্থগিত করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্রের মজুত অনেকটাই কমে যাওয়ায় এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এ সিদ্ধান্তের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দুজন মঙ্গলবার (০১ জুলাই) এ তথ্য জানিয়েছেন।
দুই সূত্র বলেছে, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন কিয়েভকে যে অস্ত্র সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তার কিছু চালান সম্প্রতি ধীরগতিতে পাঠানো হচ্ছে। দেরি করে পাঠানো এসব চালানের মধ্যে আছে রাশিয়ার ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করতে সহায়ক আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা।
পেন্টাগন এক ই-মেইলে বলেছে, ইউক্রেনের জন্য সামরিক সহায়তা চালিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে কিছু বিকল্প পথ দেখিয়েছে তারা। এর লক্ষ্য হলো ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধ বন্ধ করা।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা নীতিমালাবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি এলব্রিজ কোলবি বলেন, একই সময়ে পেন্টাগন যুদ্ধ বন্ধের লক্ষ্য ঠিক রাখতে তাদের পরিকল্পনা ভালোভাবে খতিয়ে দেখছে ও বদলাচ্ছে। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী যেন প্রশাসনের প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত অগ্রাধিকারের বিষয়গুলোর জন্য সব সময় প্রস্তুত থাকে, সেটাও নিশ্চিত করা হচ্ছে।
রাশিয়া ইতোমধ্যে ইউক্রেনের প্রায় এক-পঞ্চমাংশ এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছে। তারা ধীরে ধীরে আরও অগ্রসর হচ্ছে। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে তারা ইউক্রেনের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় দোনেৎস্ক ও দিনিপ্রোপেত্রোভস্ক অঞ্চলের নতুন এলাকা দখল করেছে। দেশজুড়ে বিমান হামলাও বাড়িয়েছে রাশিয়া।
গত ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে সাময়িকভাবে সব ধরনের অস্ত্রসহায়তা বন্ধ রাখা হয়েছিল। আর মার্চে আরও দীর্ঘ সময়ের জন্য বন্ধ রাখা হয়। এরপর ট্রাম্প প্রশাসন বাইডেনের অনুমোদিত শেষ দফার সহায়তা পাঠানো শুরু করে। এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত নতুন কোনো নীতিমালার ঘোষণা আসেনি।
তবে চালান স্থগিতের খবরটি পলিটিকো বুধবার (০২ জুলাই) প্রথম প্রকাশ করেছে।