যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো মন্ত্রী হয়েছেন একজন আদিবাসী নারী। দেশটির নিউ মেক্সিকো অঙ্গরাজ্যে বড় হওয়া ৬০ বছর বয়সী ডেব হালান্ড স্থল, সমুদ্র ও প্রাকৃতিক সম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন।
পাশাপাশি দেশটির আদিবাসীদের বিভিন্ন বিষয় নিয়েও কাজ করবেন তিনি।
কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটে স্থানীয় সময় সোমবার ভোটাভুটিতে হালান্ড নির্বাচিত হন বলে দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। সিনেটে রিপাবলিকান পার্টির নেতা লিন্ডসে গ্রাহাম, লিসা মুরকোওস্কি, ড্যান সালিভান ও সুসান কলিন্স সেক্রেটারি অব দ্য ইন্টেরিয়র পদের জন্য ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতা হালান্ডকে ভোট দেন। সিনেটে ৫১-৪০ ভোট পেয়ে ইতিহাস গড়েন হালান্ড।
নির্বাচিত হওয়ার পর সিনেটরদের উদ্দেশে এক টুইটবার্তায় হালান্ড বলেন, ‘কনফারমেশন ভোটের জন্য সিনেটকে ধন্যবাদ। সেক্রেটারি অফ ইন্টেরিয়র হিসেবে আপনাদের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী।’
যুক্তরাষ্ট্রের ৩৫ অঙ্গরাজ্যে ৫৭৪টি আদিবাসী গোষ্ঠীর বাস। এদের একটি লেগুনা পুয়েবলো। হালান্ড ওই গোষ্ঠীরই সদস্য।
১৯৩৩ সালের পর তিনিই যুক্তরাষ্ট্র সরকারের হয়ে কাজ করতে যাওয়া সবচেয়ে জ্যেষ্ঠ আদিবাসী আমেরিকান হতে যাচ্ছেন।
এর আগে ১৯২৯ থেকে ১৯৩৩ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের ৩১তম প্রেসিডেন্ট হার্বার্ট হুভারের ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন রিপাবলিকান পার্টির নেতা ও আদিবাসী চার্লস কার্টিজ। তিনি কানসা জাতিগোষ্ঠীর ছিলেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের এক-পঞ্চমাংশ স্থল এবং ১ দশমিক ৭ বিলিয়ন একর এলাকার উপকূলরেখার তত্ত্বাবধানে থাকা প্রায় ৭০ হাজার কর্মকর্তাকে নেতৃত্ব দেবেন হালান্ড। একই সঙ্গে বিভিন্ন জাতীয় উদ্যান, বন্যপ্রাণী আশ্রয় এবং গ্যাস, তেল ও পানির মতো প্রাকৃতিক সম্পদেরও ব্যবস্থাপনায় থাকবেন তিনি।
এ ছাড়া দেশটির আদিবাসীদের অধিকার রক্ষায় যুক্তরাষ্ট্র সরকারের চুক্তির বিষয়েও কাজ করবেন তিনি।
বিভিন্ন সরকারের আমলে কাঠামোগতভাবে ওই চুক্তিভঙ্গের কারণে আয়ুষ্কাল কমে যাওয়া, পরিবেশগত দুর্যোগ, রাজনৈতিক অংশগ্রহণে বাধা, অর্থনৈতিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হওয়াসহ নানা ধরনের নেতিবাচক পরিস্থিতির মুখে দেশটির লাখো আদিবাসী।
হালান্ডের সেক্রেটারি অফ ইন্টেরিয়র হওয়ার খবরে আদিবাসী তরুণদের নিয়ে কাজ করা সংগঠন সেন্টার ফর ন্যাটিভ আমেরিকান ইয়ুথের নির্বাহী পরিচালক নিক্কি পিত্রে বলেন, আদিবাসী তরুণেরা হালান্ডকে রোল মডেল হিসেবে দেখে। তিনি তাদের অধিকার রক্ষার বড় সমর্থক।