যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের গেলভেস্টন শহরে মাস্ক পরার বাধ্যবাধকতা তুলে দেয়া হয়েছে। গত বুধবার এ সংক্রান্ত নির্দেশ দেন টেক্সাসের গভর্নর রিপাবলিকান পার্টির নেতা গ্রেগ অ্যাবট।
তবে করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে না আসায় মাস্ক পরাসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশ অব্যাহত রেখেছে অঙ্গরাজ্যটির বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান।
গভর্নরের নির্দেশের পরের দিন বৃহস্পতিবার টেরি রাইট নামের ৬৫ বছর বয়সী এক নারী মাস্ক না পরে গেলভেস্টনের এক ব্যাংকে যান। সেখানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চলায় তাকে ঘিরে শুরু হয় হট্টগোল।
গেলভেস্টন পুুলিশ প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, মুখে মাস্ক পরা ব্যাংকের এক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলছেন পুলিশের কর্মকর্তা। টাকা নেয়ার সারিতে দাঁড়িয়ে আছেন রাইট।
পুলিশের কর্মকর্তা রাইটের কাছে গিয়ে বলেন, ‘মাস্ক না পরায় ব্যাংকের কর্মকর্তারা আপনাকে চলে যেতে বলেছেন। আপনার চলে যাওয়া উচিত।’
জবাবে রাইট বলেন, ‘আমার অর্থ ব্যাংকে। আমি তা তুলে যাব।’
এর পরপরই দুজনের মধ্যে তর্কাতর্কি বাঁধে। একপর্যায়ে পুলিশের ওই কর্মকর্তা তাকে হাতকড়া পরান।
শনিবার গেলভেস্টন পুলিশের মুখপাত্র স্ট্যাসি পেপিলিওন বলেন, রাইটকে গ্রেপ্তার করার কথা ছিল। কিন্তু পায়ে ব্যথার কথা বলায় তাকে তাৎক্ষণিকভাবে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
গেলভেস্টন পুলিশের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, অনধিকার প্রবেশ ও গ্রেপ্তারে বাধা দেয়ায় রাইটের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
রাইট বলেন, ওই ঘটনায় তার কোনো আক্ষেপ নেই। আইন তার পক্ষে। সোমবার পুলিশকে তিনি নিজেই ফোন করবেন।
পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, রাইটের আঘাত সামান্য। তাকে গেলভেস্টনের ইউনিভার্সিটি অফ টেক্সাস মেডিক্যাল ব্রাঞ্চ (ইউটিএমবি) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
তবে রাইটের দাবি, হাতকড়া পরানোর সময় পুলিশের কর্মকর্তা তার পায়ে আঘাত দিয়েছেন, যেটা গুরুতর।
ব্যাংকের মুখপাত্র কার্লা মলিনা বলেন, ‘করোনা রোধে মাস্ক পরা ও অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে জনস্বাস্থ্য সংস্থা সেন্টার্স ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের কর্মকর্তাসহ অন্য স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বারবার বলেছেন।
‘যেসব গ্রাহক মাস্ক পরতে চান না, তাদের এটিএম ব্যবহার করতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া ব্যাংকে প্রবেশ না করে গাড়ি থেকে বের না হয়ে জানালা দিয়েও তারা সেবা নিতে পারবেন।’