বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ডলার-স্বর্ণ ‘ঘুষ নিয়েছেন’ সু চি

  •    
  • ১২ মার্চ, ২০২১ ১১:২৩

সামরিক জান্তা সরকারের মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জো মিন তুন বলেন, ‘ইয়াঙ্গুনের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ফো মিয়েন থিয়েন সু চির বিরুদ্ধে এ অভিযোগ এনেছেন। থিয়েন বলেছেন, ৬ লাখ ডলার নগদ অর্থ ও ১১ কেজি ওজনের সোনা সু চি তার কাছ থেকে নেন। এ বিষয়ে দুর্নীতিবিরোধী কমিটি তদন্ত করছে।’

মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত নেতা অং সান সু চির বিরুদ্ধে এবার অর্থ ও সোনা ঘুষ হিসেবে গ্রহণের অভিযোগ এনেছে দেশটির সামরিক শাসক।

শুক্রবার বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, সামরিক জান্তা সরকারের মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জো মিন তুন বলেন, ইয়াঙ্গুনের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ফো মিয়েন থিয়েন সু চির বিরুদ্ধে ঘুষের এ অভিযোগ এনেছেন।

থিয়েনের দাবি, তার কাছ থেকে ৬ লাখ ডলার নগদ অর্থ ও ১১ কেজি ওজনের সোনা নেন সু চি। তবে কোনো প্রমাণ হাজির করতে পারেননি থিয়েন। দেশটির দুর্নীতি দমন কমিটি এ অভিযোগ তদন্ত করছে।

অবশ্য সু চির ঘুষ নেয়ার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে মিয়ানমারের সদ্য বিলুপ্ত সংসদের সদস্য আয়ে মা মা।

সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসির (এনএলডি) নেতা আয়ে মা মা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘রাজনীতিকদের বিরুদ্ধে অপবাদ দেয়া এখন স্বাভাবিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে। এনএলডিকে দমন করতেই এমন তৎপরতা চালানো হচ্ছে। একদিকে তারা (সেনাবাহিনী) নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের নামে কুৎসা রটাচ্ছে, অন্যদিকে প্রকাশ্যে নির্দোষ তরুণদের গুলি করে মারছে।’

১ ফেব্রুয়ারি সামরিক অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ক্ষমতা দখলের পর সু চির বিরুদ্ধে কয়েকটি অভিযোগ আনে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। তবে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ সবচেয়ে জোরালো বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টসহ বেশ কয়েকজন মন্ত্রীর বিরুদ্ধেও দুর্নীতির অভিযোগ আনেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জো মিন তুন।

এদিকে এনবিসি নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, বৃহস্পতিবার জেনেভায় মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ এনেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার তদন্তকারী কর্মকর্তা টমাস অ্যান্ড্রুজ।

জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলকে অ্যান্ড্রুজ বলেন, সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে মিয়ানমারের জান্তা সরকার কমপক্ষে ৭০ জনকে ‘হত্যা’ করেছে। তারা দেশটির মানুষের ওপর যে পরিমাণ হত্যা, নির্যাতন ও নিপীড়ন চালাচ্ছে, তা মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হওয়ার যোগ্য।

তিনি বলেন, মিয়ানমারে সেনাদের হাতে নিহত অর্ধেকেরও বেশি বিক্ষোভকারীর বয়স ২৫ বছরের নিচে। ২ হাজারের বেশি মানুষকে তারা বেআইনিভাবে আটক করে রেখেছে। দেশটিতে সহিংসতা কমছে না, বরং বাড়ছে।

অ্যান্ড্রুজ বলেন, ‘খুনি, অবৈধ সরকার মিয়ানমারকে মূলত শাসন করছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী বিক্ষোভকারী থেকে শুরু করে চিকিৎসক, পথচারীদের নিষ্ঠুরভাবে পেটাচ্ছে, গ্রেপ্তার করছে- যা আমরা ভিডিওতে দেখেছি। বিভিন্ন এলাকায় সেনা ও পুলিশ পরিকল্পিতভাবে প্রবেশ করে সম্পদ ভাঙচুর করছে, দোকানপাট লুট করছে, ঘরবসতিতে নির্বিচারে গুলি চালাচ্ছে তা ভিডিওগুলোতে স্পষ্ট।’

জাতিসংঘের তদন্তকারী কর্মকর্তার এসব অভিযোগে সমর্থন জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি।

এ বিভাগের আরো খবর