মিয়ানমারে কারাবন্দি হওয়ার পর মৃত্যু হয়েছে সেনাদের হাতে ক্ষমতাচ্যুত অং সান সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) এক নেতার।
সাবেক এক আইনপ্রণেতার বরাত দিয়ে আল জাজিরার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বা মিয়ো থেইন নামের সাবেক ওই আইনপ্রণেতা জানান, ইয়াঙ্গুনে মঙ্গলবার গ্রেপ্তার করা হয় এনএলডির নেতা জ মিয়াত লিনকে। কারাগারে তার মৃত্যু হয়।
থেইন বলেন, ‘তিনি (লিন) নিয়মিত বিক্ষোভে অংশ নিচ্ছিলেন। এখন তার স্বজনরা সামরিক হাসপাতাল থেকে তার মরদেহ নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন।’
মৃত্যুর বিষয়ে জানতে সামরিক বাহিনী ও পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে আল জাজিরা। তবে তাদের কারও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
মিয়ানমারের বৃহত্তম শহর ইয়াঙ্গুনে একটি কারিগরি শিক্ষা ইনস্টিটিউট পরিচালনা করতেন জ মিয়াত লিন। তিনি গত কয়েক দিনের মধ্যে কারাগারে মৃত্যুবরণ করা এনএলডির দ্বিতীয় নেতা।
এর আগে গত শনিবার খিন মং লাত নামে দলটির এক নেতার মৃত্যু হয় হেফাজতে।
২০২০ সালে নির্বাচিত এনএলডির একজন আইনপ্রণেতার প্রচার দলের ম্যানেজার ছিলেন লাত।
গত ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত নেতা অং সান সুচিসহ তার নেতৃত্বাধীন সরকারের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তার করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। এর পর থেকেই সংকটে আছে দেশটি।
অভ্যুত্থানের পর প্রায় প্রতিদিনই বিক্ষোভ হচ্ছে মিয়ানমারে। দেশটিতে অসহযোগ আন্দোলনের অংশ হিসেবে অনেক সরকারি ও বেসরকারি চাকরিজীবী কর্মবিরতি পালন করছেন। তাদের দমাতে কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা।
রাজনৈতিক বন্দিদের নিয়ে কাজ করা সংস্থা অ্যাসিস্টেন্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনার্সের (এএপিপি) হিসাব অনুযায়ী, চলমান আন্দোলনে ৬০ জনের বেশি বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছেন। আটক করা হয়েছে প্রায় ২ হাজার জনকে।