বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

উইঘুরদের ওপর গণহত্যার অভিযোগ অযৌক্তিক: চীন

  •    
  • ৮ মার্চ, ২০২১ ০৯:২০

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানবাধিকারের প্রতি ইঙ্গিত করে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘‘‘গণহত্যার” কথা উঠলে বেশির ভাগ মানুষের চোখে ভাসে ষষ্ঠদশ শতাব্দীর উত্তর আমেরিকার আদিবাসী, উনবিংশ শতাব্দীর আফ্রিকার দাস, বিংশ শতাব্দীর ইহুদি এবং এখনও সংগ্রামরত আদিবাসী অস্ট্রেলিয়ানদের কথা।’

চীনের শিনজিয়াং প্রদেশের জাতিগত সংখ্যালঘু উইঘুর মুসলমানদের ওপর গণহত্যার অভিযোগ ‘অযৌক্তিক’ বলে ফের উড়িয়ে দিয়েছে চীন।

দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই স্থানীয় সময় রোববার সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন বলে বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, শিনজিয়াংকে ঘিরে অপপ্রচার বিশ্বাস করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পশ্চিমা বিশ্বের রাজনীতিকেরা। আদতে সেখানে কী হচ্ছে, তা স্বচক্ষে দেখতে ওই প্রদেশ সফরে সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছে চীন।

ওয়াং ই বলেন, ‘শিনজিয়াংয়ে তথাকথিত গণহত্যা হাস্যকরভাবে অযৌক্তিক। ইচ্ছাকৃতভাবে অসৎ উদ্দেশ্যে এ গুজব ছড়ানো হয়েছে। গণহত্যার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।’

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানবাধিকারের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, “‘গণহত্যার” কথা উঠলে বেশির ভাগ মানুষের চোখে ভাসে ষষ্ঠদশ শতাব্দীর উত্তর আমেরিকার আদিবাসী, উনবিংশ শতাব্দীর আফ্রিকার দাস, বিংশ শতাব্দীর ইহুদি এবং এখনও সংগ্রামরত আদিবাসী অস্ট্রেলিয়ানদের কথা।’

চলতি বছরের জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বলা হয়, শিনজিয়াং প্রদেশের উইঘুররা গণহত্যার শিকার। চীন সরকার তাদের উৎখাতে কাঠামোগত প্রয়াস বাস্তবায়ন করছে।

যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, নেদারল্যান্ডসসহ বেশ কয়েকটি দেশ উইঘুরদের ওপর চীন সরকারের কর্মকাণ্ডকে ‘গণহত্যা’ হিসেবে উল্লেখ করে।

দেশগুলোর অভিযোগ, জোর করে উইঘুর নারীদের সন্তানধারণে অক্ষম করা হচ্ছে। পাশাপাশি উইঘুর শিশুদের তাদের পরিবার থেকেও আলাদা করছে চীন সরকার।

বিবিসির এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনেও বলা হয়েছিল, বন্দিশিবিরে উইঘুরদের জোরপূর্বক শ্রমে বাধ্য করা হচ্ছে।

এ ছাড়া শিবিরগুলোতে কাঠামোগত ধর্ষণ ও নির্যাতন করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।

জাতিসংঘের পক্ষ থেকে বলা হয়, ক্যাম্পে অন্তত ১০ লাখ উইঘুরকে বন্দি করে রাখা হয়েছে।

অবশ্য ওই ক্যাম্পগুলোতে কারিগরি শিক্ষা দেয়ার পাশাপাশি এর মাধ্যমে উগ্রবাদ নির্মূল করা হচ্ছে বলে চীনের পক্ষ থেকে একাধিকবার দাবি করা হয়।

তবে কানাডা, নেদারল্যান্ডসের পার্লামেন্টে উইঘুরদের ওপর ‘গণহত্যা’ হচ্ছে বলে বিভিন্ন সময় উল্লেখ করেন আইনপ্রণেতারা। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও ও বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেনও একই মত দেন।

এ বিভাগের আরো খবর