৮ মার্চ সোমবার আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যের প্রায় ৪০ হাজার নারী যাবেন হরিয়ানা-দিল্লি সীমান্তের সিংঘু ও টিকরিতে। সেখানে চলমান কৃষক আন্দোলনে শরিক হবেন ওই নারীরা। রোববার সকালে পাঞ্জাবের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন তারা।
ঐতিহাসিক কৃষক আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী সংযুক্ত কিষান মোর্চা ঘোষণা করেছে, দিল্লি সীমান্তে চলতে থাকা কৃষক আন্দোলন ৮ মার্চ নারী কৃষক দিবস হিসেবে পালন করবে। এদিন ধরনাস্থলে মূল মঞ্চের কর্তৃত্ব থাকবে নারীদের হাতে।
নারী দিবসে কৃষক আন্দোলনে নারীদের সর্বাধিক অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে কয়েক দিন ধরেই পাঞ্জাবের বেশির ভাগ জেলায় ট্রাক্টর মিছিল বের করা হয়েছে। বার্নালায় শুক্রবার শুধু নারীরাই বড় ট্রাক্টর মিছিল বের করেছিলেন। ভাতিন্দায় পুরুষ এবং নারীদের অংশগ্রহণে ট্রাক্টর মিছিল বের হয়েছে। রোববার কৃষক আন্দোলন ১০১ দিন পূর্ণ করেছে।
ভারতীয় কিষান ইউনিয়নের (উগ্রাহান) সাধারণ সম্পাদক সুখদেব সিং কোক্রিকালান জানান, রোববার সকালে ৫০০ বাস, ৬০০ মিনিবাস, ১১৫ ট্রাক/ক্যান্টার এবং ২০০টি ছোট গাড়িতে করে নারীরা টিকরির উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন। রোববার রাতেই তারা পৌঁছে যাবেন টিকরি সীমান্তে।
ভারতীয় কিষান ইউনিয়নের (ডাউকোন্ডা) নারী শাখার নেত্রী বলবীর কাউর জানিয়েছেন, যে নারীরা সোমবার কৃষক আন্দোলনে শরিক হবেন, তাদের একটা অংশ মঙ্গলবার ফিরে যাবেন। কারণ পাঞ্জাবে ছাত্র-ছাত্রীদের বিভিন্ন স্তরের চূড়ান্ত পরীক্ষা শুরু হয়েছে বা হচ্ছে। যেসব নারীর সন্তানদের পরীক্ষা আছে তারা ফিরে যাবেন। তবে নারীদের একটা বড় অংশ থেকে যাবেন।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক জগমোহন সিং জানান, সোমবার সংযুক্ত কিষান মোর্চার নেতারা থাকবেন মূল মঞ্চের পাশে। অনুষ্ঠানগুলোর বেশির ভাগই নারী দ্বারা পরিচালিত হবে।
তিনি আরও জানান, মোর্চার পক্ষ থেকে বক্তাদের বক্তৃতা দেয়ার সময় কোনো উসকানিমূলক ভাষা না ব্যবহার করতে বলা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমাদের ইস্যু থেকে বিচ্যুত হওয়ার দরকার নেই।’