সুইজারল্যান্ডে জনসমক্ষে বোরকা নিষিদ্ধ হওয়ার শঙ্কায় অস্বস্তিতে আছেন দেশটির মুসলমানরা। আগামী ৭ মার্চ বিষয়টি নিয়ে গণভোট হবে।
দেশটিতে প্রস্তাবিত আইনে বলা হয়েছে, কেউ জনসমক্ষে মুখ ঢাকতে পারবে না। শুধু তা-ই নয়, জেন্ডার পরিচয়ের ভিত্তিতেও কেউ মুখ ঢাকতে পারবে না।
তবে কোনো স্বাস্থ্যগত কারণ কিংবা ঐতিহ্যবাহী উৎসবে এই আইনের ব্যতিক্রম ঘটানো যেতে পারে বলে প্রস্তাবিত আইনটিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
সুইজারল্যান্ডের মুসলমানরা মনে করছে, সমাজে তাদের বিচ্ছিন্ন করে রাখতেই এমন আইন প্রণয়ন করতে যাচ্ছে সরকার। সাম্প্রতিক এক জরিপে বিষয়টি উঠে এসেছে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে ভ্যালেন্টিনা নামের এক নারী বলেন, ‘আমি যখন নিকাব পরি, তখন নিজেকে নিরাপদ মনে হয়।’
ইউরোপের দেশ সুইজারল্যান্ডে ৩ লাখ ৮০ হাজারের বেশি মুসলমান বাস করে, যা দেশটির মোট জনসংখ্যার ৫ ভাগ।
বোরকা নিষিদ্ধের প্রস্তাবটি আনে ডানপন্থি রাজনৈতিক দল সুইস পিপলস পার্টি। তাদের যুক্তি বোরকা বা নিকাব কোনো স্বাভাবিক পোশাক না। এ পোশাকের মাধ্যমে নারীকে হেয় করা হয়।