লিবিয়ায় গত বছর মে মাসে ৩০ জন অভিবাসীকে হত্যার ঘটনায় মূল সন্দেহভাজন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রাজধানী ত্রিপলির দেড় শ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত মেজদাহ শহরে নিহতদের মধ্যে ২৬ জন বাংলাদেশিও ছিলেন।
বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, অভিযুক্ত হত্যাকারীদের মধ্যে অন্যতম ২৩ বছর বয়সী এক যুবক। তাকেই রাজধানীর একশ’ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমের ঘারইয়ান নামের একটি এলাকা থেকে সোমবার গ্রেপ্তার করা হয়।
এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে লিবিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ তালিকাভুক্ত ওই যুবক ধরা পড়ার পর জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের স্বীকারোক্তিও দিয়েছে। তার নাম-পরিচয় গোপন রেখেছে লিবীয় প্রশাসন।
দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ফাতি বাশাঘা এএফপিকে বলেছেন, ‘হামলার পরপরই ঘাতকদের প্রত্যেককে গ্রেপ্তারে পরোয়ানা জারির জন্য মেজদাহর স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। মূল অভিযুক্ত ব্যক্তি আটক হওয়ার খবর নিঃসন্দেহে আমাদের জন্য বিজয়। এর মাধ্যমে এটাই প্রমাণিত হলো যে এ ধরনের অপরাধ ঘটিয়ে লিবিয়ায় পার পাওয়ার কোনো উপায় নেই।’
২০২০ সালের ওই হামলায় নিহতদের মধ্যে বাকিরা আফ্রিকান অভিবাসী। এ ঘটনায় বাংলাদেশ সরকার ও লিবিয়ার কূটনীতিতে তিক্ততা তৈরি হয়।
ত্রিপলিকে দ্রুত অনুসন্ধান, হামলাকারীদের বিচারের আওতায় আনা এবং নিহতদের স্বজনদের ক্ষতিপূরণ দেয়ার দাবি জানায় ঢাকা।
এক মাস পরই এ হত্যাকাণ্ডের সাথে সম্পৃক্ত এক বাংলাদেশি অভিযুক্তকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। জানা যায়, আটককৃত ব্যক্তি আন্তর্জাতিক পাচারকারী চক্রের সাথে যুক্ত একটি অপরাধী চক্রের নেতৃত্ব দিয়ে আসছিলেন।
পুরো ঘটনায় বাংলাদেশ থেকে তরুণদের পাচার করে লিবিয়া হয়ে ইউরোপে পাঠানো এবং সাগরে বিপজ্জনক যাত্রাপথে ঠেলে দেয়ার বিষয়টি আবারও বিশ্বজুড়ে আলোচনায় উঠে আসে।
গত কয়েক বছরে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে অনেক বাংলাদেশি ইউরোপে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন। এই সুযোগে তৎপরতা বেড়েছে লিবিয়ার পাচারকারীদের। দেশটিতে এখনও শোচনীয় পরিস্থিতিতে আটকে আছেন হাজারো অভিবাসনপ্রত্যাশী।