বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

অর্থ সহায়তা কমানো ইয়েমেনের জন্য মৃত্যুদণ্ড: জাতিসংঘ

  •    
  • ২ মার্চ, ২০২১ ১২:৪০

গুতেরেস বলেন, ‘ইয়েমেনের লাখ লাখ শিশু, নারী ও পুরুষের জীবন রক্ষায় গুরুতরভাবে সহায়তা প্রয়োজন। অর্থ সহায়তা কমিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত অসহায়দের মৃত্যুদণ্ড দেয়ার শামিল।’

যুদ্ধবিধ্বস্ত ইয়েমেনে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ রোধে মানবিক কর্মসূচিতে বিভিন্ন দাতা দেশ প্রয়োজনের তুলনায় অর্ধেকেরও কম অর্থ সহায়তা দেয়ার অঙ্গীকার করায় হতাশা প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস।

অপ্রতুল এ সহায়তাকে ইয়েমেনবাসীর জন্য ‘মৃত্যুদণ্ড’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন তিনি।

ইয়েমেনবাসীর জন্য অর্থ সহায়তা-সংক্রান্ত কনফারেন্স সোমবার অনুষ্ঠিত হয়। এতে ভার্চুয়ালি বিভিন্ন দেশ ও দাতা সংস্থা যুক্ত হয়।

আল জাজিরার প্রতিবেদনে জানানো হয়, কনফারেন্সে ইয়েমেনে জরুরি ভিত্তিতে মানবিক সংকট মোকাবিলায় দাতা দেশগুলোকে ৩ দশমিক ৮৫ বিলিয়ন ডলার দেয়ার আহ্বান জানায় জাতিসংঘ। কিন্তু দেশগুলো ১ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার দিতে সম্মত হয়।

কনফারেন্স শেষে এক বিবৃতিতে গুতেরেস বলেন, ‘ইয়েমেনের লাখ লাখ শিশু, নারী ও পুরুষের জীবন রক্ষায় গুরুতরভাবে সহায়তা প্রয়োজন। অর্থ সহায়তা কমিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত অসহায়দের মৃত্যুদণ্ড দেয়ার শামিল।’

তিনি বলেন, ‘যারা উদারভাবে অর্থ সহায়তা দেয়ার অঙ্গীকার করেছেন তাদের ধন্যবাদ জানাই। অন্যদের বিষয়টি পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানাচ্ছি। গত কয়েক দশকের সবচেয়ে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষে কবলিত ইয়েমেন। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে বিভিন্ন দাতা দেশের সহায়তা ইয়েমেনের প্রয়োজন।’

কনফারেন্সে শতাধিক দেশের সরকার ও দাতা সংস্থা অংশ নেয়। ওই সময় যুক্তরাষ্ট্র ১৯১ মিলিয়ন ডলার ও সৌদি আরব ৪৩০ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দেয়ার অঙ্গীকার করে। গত বছরের চেয়ে দেশ দুটির এ অর্থ সহায়তা কম।

অবশ্য কনফারেন্সে ইয়েমেনেকে ২৪১ মিলিয়ন ডলার দেয়ার অঙ্গীকার করে জার্মানি। গত বছর ১৩৮ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দিয়েছিল দেশটি।

ক্রমহ্রাসমান মানবিক সহায়তার কারণে গত বছর ইয়েমেনে স্বাস্থ্যসেবা, খাবার বিতরণসহ বেশ কয়েকটি মানবিক কর্মসূচি বন্ধ করতে হয়।

দেশটির জনসংখ্যার প্রায় দুই তৃতীয়াংশ জীবনধারণে দাতা সংস্থার সহায়তার ওপর নির্ভরশীল। অর্থ সহায়তা যত কমছে, তাদের দুর্দশাও তত বাড়ছে।

জাতিসংঘের সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, জনসংখ্যার অর্ধেক বা ১ কোটি ৬০ লাখের বেশি ইয়েমেনি এ বছর অনাহারের মুখে পড়বে। খাদ্যের অভাবে দেশটির প্রায় ৫০ হাজার মানুষ ধুঁকে ধুঁকে মরছে।

পাঁচ বছরের কম বয়সী চার লাখ শিশু প্রকট অপুষ্টিতে মারা যেতে পারে বলে জাতিসংঘের পক্ষ থেকে সতর্ক করা হয়েছে।

২০১৪ সালে রাজধানী সানাসহ ইয়েমেনের বিশাল এলাকা হুতি বিদ্রোহীরা দখলের পর দেশটিতে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়।

পরের বছরের মার্চে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত প্রেসিডেন্ট আবদ-রাব্বু মনসুর হাদির সরকারকে ক্ষমতায় বসানোর চেষ্টার অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত সামরিক জোটে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত যোগ দেয়। তখন থেকে ইয়েমেনের পরিস্থিতি আরও সংকটাপন্ন হয়ে পড়ে।

ইয়েমেন-যুদ্ধে হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর পাশাপাশি দেশটির বেশির ভাগ অবকাঠামো ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। জীবিত লাখ লাখ মানুষ অনাহারে মরছে।

এ বিভাগের আরো খবর