ইসরায়েলে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রথম রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন মোহাম্মদ আল খাজা। সোমবার তিনি জেরুজালেমে পৌঁছেছেন।
আনুষ্ঠানিকতার অংশ হিসেবে এরই মধ্যে ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট র্যভেঁ রিভলিনের কাছে নিজের পরিচয়পত্র জমা দিয়েছেন তিনি। দেখা করেছেন ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী গাবি আশকেনাজির সাথে।
নতুন কর্মক্ষেত্রে যোগ দিয়ে মোহাম্মদ খাজা বলেন, ‘ইসরায়েলে প্রথম আমিরাতি রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ পাওয়া সৌভাগ্যের ও গর্বের। দু্ই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও এগিয়ে নেয়াই আমার লক্ষ্য। সারা মধ্যপ্রাচ্যের মানুষের জন্য শান্তি ও সমৃদ্ধি বয়ে আনার সূচনা হলো এর মাধ্যমে।’
এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের সঙ্গে আরব রাষ্ট্রগুলোর সম্পর্কোন্নয়নের উদ্যোগ নিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। এরই অংশ হিসেবে গত বছর ট্রাম্প প্রশাসনের মধ্যস্থতায় ইসরায়েল ও আরব আমিরাতের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিকে চুক্তি স্বাক্ষর হয় ।
এরপর ইসরায়েলে আরব আমিরাতের দূতাবাস চালু হয় জানুয়ারিতে। কিন্তু এত দিন সে দূতাবাসের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন প্রবীণ কূটনীতিক এইতান নায়েহ।
এরই মধ্যে সরাসরি ফ্লাইট চালু, ভিসাবিহীন ভ্রমণ ব্যবস্থা, সুরক্ষিত বিনিয়োগ, বিজ্ঞান-প্রযুক্তিতে অবদানসহ বেশ কিছু ইস্যুতে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে দুটি দেশ।
ট্রাম্প প্রশাসনের উদ্যোগে ইসরায়েলের সঙ্গে পূর্ণ কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনকারী প্রথম আরব রাষ্ট্র আমিরাত। এই সম্পর্ক স্থাপিত হয় আব্রাহাম অ্যাকর্ড নামক যৌথ সমঝোতার ভিত্তিতে। এর আগে ১৯৭৯ সালে মিসর প্রথম এবং তারপর ১৯৯৪ সালে জর্ডান দ্বিতীয় মুসলিম দেশ হিসেবে ইসরায়েলের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক স্থাপন করে।
আরব আমিরাতের পর আব্রাহাম অ্যাকর্ডে যুক্ত হয়েছে বাহরাইন, মরক্কো ও সুদান।
এতদিন ফিলিস্তিনের সঙ্গে শান্তিচুক্তি না হলে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক না করার অবস্থানে ছিল মুসলিম রাষ্ট্রগুলো।