নিউজ কন্টেন্ট ইস্যুতে নতুন আইনে পরিবর্তন আনা হবে না বলে সাফ জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধান মন্ত্রী স্কট মরিসন। অস্ট্রেলিয়া সরকার ও ফেসবুক কর্তৃপক্ষের শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠক শেষে শুক্রবার এ ঘোষণা দেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী। এ সময় অতীত ভুলে আলোচনার টেবিলে আসতে ফেসবুকের প্রতি আহ্বান জানান মরিসন।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন
অস্ট্রেলিয়ার সব ধরনের নিউজ কন্টেন্ট বৃহস্পতিবার ব্লক করে দেয় ফেসবুক। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিয়ে অস্ট্রেলিয়া সরকারের প্রস্তাবিত গণমাধ্যম আইনের প্রেক্ষাপটে এ পদক্ষেপ নেয় যোগাযোগমাধ্যমের সবচেয়ে বড় এই প্ল্যাটফর্ম।
প্রস্তাবিত আইনে, অস্ট্রেলিয়ার সংবাদমাধ্যমের কোনো কন্টেন্ট শেয়ার করা হলে সেখান থেকে যে আয় হবে তার একটি অংশ দিতে হবে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে।
অস্ট্রেলিয়ার অর্থমন্ত্রী জশ ফ্রাইডেনবার্গ জানান, বৈরিতা নিরসনে ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গের সঙ্গে শুক্রবার আলোচনা হয়েছে। সমঝোতার এই আলোচনা চলবে।
বিজ্ঞাপনী সংস্থাগুলো প্রতিনিয়ত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্রতি আগ্রহী হওয়ায় বিশ্বের সব দেশের মতো অস্ট্রেলিয়ার সংবাদ প্রকাশকদের আয়েও নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।
সংবাদমাধ্যমের সুরক্ষায় ফেসবুক, টুইটার, গুগলের মতো টেক জায়ান্টগুলোকে লভ্যাংশের একটা হিস্যা সংবাদ প্রকাশকদের নিতে বাধ্য করে নতুন আইন পাস করতে যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া।
শুরু থেকেই প্রস্তাবিত গণমাধ্যম আইনের সমালোচনা করে আসছে ফেসবুক ও গুগলের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো। টেক জায়ান্টগুলোর দাবি, ইন্টারনেট ব্যবস্থা কীভাবে কাজ করে এই আইনে সেটা প্রতিফলিত হয়নি। এই আইনে অযৌক্তিকভাবে তাদের ‘জরিমানা’ করার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
এসবে কান না দিয়ে সংবাদমাধ্যমের সুরক্ষায় প্রস্তাবিত গণমাধ্যম আইন পাস করার পথেই এগিয়ে যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া সরকার। আইনটি বুধবার দেশটির আইনসভার নিম্নকক্ষে পাসও হয়।
অস্ট্রেলিয়ায় তথ্য প্রবাহের ওপর ফেসবুকের এই সেন্সর আরোপকে ‘ঘটনা প্রবাহের বিপজ্জনক মোড়’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন দেশটিতে হিউম্যান রাইট ওয়াচের পরিচালক। বলেন, ‘গভীর রাতে একটি দেশের সব গুরুত্বপূর্ণ তথ্যে প্রবেশে এভাবে নিষেধাজ্ঞা দেয়া অগ্রহণযোগ্য।’