প্রতিরক্ষা জোট ন্যাটোর সদস্য রাষ্ট্র তুরস্কের সঙ্গে কূটনৈতিক দ্বন্দ্ব মেটানোর আভাস দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
সোমবার তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলুর সঙ্গে আলাপকালে যুক্তরাষ্ট্রের এ মনোভাবের কথা জানান দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে জানানো হয়, ইরাকে ১৩ তুর্কি নাগরিককে অপহরণ ও হত্যার ঘটনায় প্রতিক্রিয়ার জেরে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর ক্ষুব্ধ ছিল তুরস্ক। নিহতদের মধ্যে ছিলেন তুরস্কের এক সেনা ও এক পুলিশ কর্মকর্তা।
রোববারের ওই ঘটনার জন্য সরাসরি কুর্দি সশস্ত্র সংগঠন কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টিকে (পিকেকে) দায়ী করে আঙ্কারা। যদিও পিকেকে পাল্টা অভিযোগ করে জানায়, তুরস্কের সামরিক অভিযানেই প্রাণ গেছে তুর্কি নাগরিকদের।
গত সপ্তাহে ইরাকের কুর্দিস্তানের দুহুক এলাকায় ‘ক্ল ঈগল টু’ নামের অভিযান চালায় আঙ্কারা। এতে অংশ নেয় তুর্কি সেনা ও বিমানবাহিনী। অভিযানে প্রাণ যায় কমপক্ষে ৪৮ কুর্দি যোদ্ধার।
সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে পিকেকের সঙ্গে জোট বেঁধে কাজ করছে আমেরিকান সেনারা। ফলে এ ঘটনায় প্রতিক্রিয়া প্রকাশের সময় সতর্ক অবস্থানে ছিল ওয়াশিংটন।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, তুর্কি নাগরিকদের হত্যায় পিকেকের ভূমিকা নিশ্চিত হলেই কেবল এ হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানাবে তারা।
পিকেকেকে নিন্দা জানানো নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের এ অবস্থানে তাৎক্ষণিক ক্ষোভ প্রকাশ করেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। যুক্তরাষ্ট্রের বক্তব্যকে ‘হাস্যকর’ আখ্যা দেন তিনি।
পরে আঙ্কারায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতকে তলব করেও তীব্র প্রতিক্রিয়া জানায় তুরস্ক।
এর মধ্যেই সোমবার তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কাভুসোগলুর সঙ্গে ফোনে কথা বলেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেন। আলাপকালে তুর্কি নাগরিকদের হত্যার ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র পিকেকেকেই দায়ী মনে করছে বলে জানান তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নেড প্রাইস এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন এসব তথ্য।