কয়েক মাস ধরে চলা উত্তেজনার পর হিমালয়ের পশ্চিমাঞ্চল লাদাখ সীমান্ত থেকে সেনা ও যুদ্ধের সরঞ্জাম সরিয়ে নিতে সম্মত হয়েছে ভারত ও চীন।
সংসদে ভাষণের সময় বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানান ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। জানান, হিমালয়ের ১৪ হাজার মিটার উচ্চতায় বিবদমান হিমবাহ লেক প্যাংগং তসো থেকে সেনা প্রত্যাহারে রাজি হয়েছে উভয় দেশ।
পারমাণবিক শক্তিধর দুই দেশের মধ্যে সেনাবাহিনীর কমান্ডার ও কূটনীতিক পর্যায়ে অনেকবার বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্তের কথা জানালেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘প্যাংগং লেকের উত্তর ও দক্ষিণ তীর থেকে সামরিক উপস্থিতি সরিয়ে নেয়ার বিষয়ে চীনের সঙ্গে আমাদের টেকসই আলোচনায় সিদ্ধান্ত হয়েছে।’
গত বুধবার একই ঘোষণা দেয় চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ও। তারা জানায়, লেক তীর থেকে উভয় দেশ সামনের সারির সৈন্যদের সরিয়ে নেয়া শুরু করেছে।
লাদাখের পশ্চিম হিমালয় অধ্যুষিত এলাকাটি নিয়ে ভারত ও চীনের মধ্যে নতুন করে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয় গত বছরের এপ্রিলে। এরপর সেখানে যুদ্ধ যুদ্ধ অবস্থা সৃষ্টি হয়।
গত জুনে হিমালয়ের ওই লাদাখ সীমান্তে ভারত ও চীনের সেনারা হাতাহাতি লড়াইয়েও জড়ায়। এতে নয়াদিল্লি নিজেদের ২০ জন সেনা নিহত হওয়ার খবর জানালেও বেইজিং কোনো হতাহতের খবর স্বীকার করেনি।
চীন থেকে বলা হয়, ওই এলাকায় তাদের সেনারা নিজেদের ভূখণ্ডেই টহল দিচ্ছে। বরং ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী উসকানিমূলক আচরণ দেখাচ্ছে।
ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রকাশ করা একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, লেকের তীরে তারা ও চীনের সেনারা একে অপরকে স্যালুট, হ্যান্ডশেক করছেন। সহিংসতাপূর্ণ এলাকাটি থেকে এ সময় কিছু ট্যাঙ্ক সরিয়ে নিতেও দেখা গেছে।
১৯৬২ সালে যুদ্ধে জড়ানোর ৪৫ বছর পর হিমালয়ের গালওয়ান উপত্যকা এলাকার দখল নিয়ে আবার যুদ্ধে জড়াতে বসেছিল ভারত-চীন। এর প্রভাব পড়েছে দুই দেশের বাণিজ্যেও।
চীন থেকে অনেক পণ্য আমদানি কমিয়ে দিয়েছে ভারত। টিকটকসহ প্রতিবেশী দেশটির অনেক অনেক অ্যাপ নিষিদ্ধ করে দিয়েছে নয়াদিল্লি।