জমে উঠছে পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা ভোটের প্রস্তুতি। দলবদলে এবার অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে ফেলছেন এখানকার নেতারা। দলবদলের পাশাপাশি ঘরও ভাঙছে। চলছে তর্কযুদ্ধও।
সব মিলিয়ে ভোটের তারিখ ঘোষণা না হতেই প্রস্তুতি তুঙ্গে। শাসক দল তৃণমূলের একাধিক নেতা-মন্ত্রী বিজেপি শিবিরে যোগ দিয়েছেন। আরও অনেকে লাইনে আছেন, এমন জল্পনা রাজ্যের রাজনীতিতে।
তবে দমবার লোক নন তৃণমূল নেত্রী মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। তিনি নিজেই নিজেকে রয়েল বেঙ্গল টাইগার বলছেন। বলছেন, ‘চমকাবেন না। ধমকাবেন না। আমি ভয় পাই না।’
বুধবার মালদায় দলের কর্মিসভায় ২০১৬ সালের মতো আবারও তিনি ডাক দিলেন ২৯৪ কেন্দ্রেই তাকে দেখেই ভোটদানের। মমতা বলেন, ‘এটা অন্য কারোর ভোট নয়। এই ভোটটা আমার ভোট। কাকে প্রার্থী করা হবে দেখার দরকার নেই।’
এ সময় তিনি পাল্টা আক্রমণ করেন বিজেপিকে। বলেন, ‘বিজেপিকে ক্ষমতা দেয়া মানে দাঙ্গায় উৎসাহ দেয়া। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একা নেই। মানুষ আমার সঙ্গে আছে। আমি যত দিন বেঁচে থাকব বিজেপিকে ঢুকতে দেব না রাজ্যে।’
বিজেপি দলের হেভিওয়েট নেতা-নেত্রীদের অনেককেই নিয়ে গেলেও পাল্টা আঘাত হানছে তার দল। এরই মধ্যে বিজেপির রাজ্য যুবমোর্চার সভাপতি সৌমিত্র খানের স্ত্রী সুজাতা মণ্ডল যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে।
বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি মুকুল রায়ের শ্যালক সৃজন রায় যোগ দিয়েছেন মমতার দলে। বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংয়ের ভগ্নিপতি, বিধায়ক সুনীল সিং-ও তৃণমূলের দিকে পা বাড়িয়ে রয়েছেন বলেও জল্পনা চলছে কলকাতার মিডিয়ায়।
পাল্টা হিসেবে বিজেপি তৃণমূলপ্রধান মমতা ও তার ভাইপো সাংসদ অভিষেক ব্যানার্জির বিরুদ্ধে আক্রমণ চড়াচ্ছে।
দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা প্রচারে রয়েছেন। বৃহস্পতিবার আসছেন সাবেক সভাপতি ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
বুধবার দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে সঙ্গে নিয়ে খড়্গপুরে চা-চক্রে মিলিত হন নাড্ডা। সেখানে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ‘টিএমসি দুর্নীতির মা জননী। তার নেত্রী মমতা দিদি।’
একই সঙ্গে তিনি হুমকি দিয়ে বলেন, ‘এমন নেতাকে বাংলার মানুষ কখনও ক্ষমা করবে না। উচিত শিক্ষা দেবে। এবং ক্ষমতা থেকে বের করে দেবে।’
সদ্য মন্ত্রিত্ব ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়ে শুভেন্দু অধিকারীও আক্রমণ চালাচ্ছেন তার ছেড়ে যাওয়া দলের নেতা-নেত্রীদের। এদিন পলতায় তিনি বলেন, উন্নততর তৃণমূল মানে অনলাইনে কাটমানি যাবে।
উল্লেখ্য, বিজেপির প্রচারের বিরুদ্ধে মমতা এবার উন্নততর তৃণমূল সরকারের ডাক দিয়েছেন।