পত্রপত্রিকার খবর নিয়ে ব্যবসা করলেও গুগল ও ফেসবুক সংবাদমাধ্যমকে তার আয়ের কোনো ভাগ দেয় না। এই দুই ইন্টারেন্ট জায়ান্টের ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপের দাবিতে প্রথম পৃষ্ঠা ফাঁকা রেখে প্রতিবাদ জানাল কানাডার টরোন্টোর একটি পত্রিকা। এর সঙ্গে শামিল হয়েছে দেশটির ছোটবড় আরও একশটিরও বেশি দৈনিক।
কানাডার শীর্ষ স্থানীয় দৈনিক টরোন্টো স্টার নামে ওই পত্রিকাটির দাবি, সংবাদ থেকে গুগল ও ফেসবুক বিপুল আয় করলেও এর সুফল পাচ্ছেন না সংবাদকর্মীরা। তার ওপর পত্রিকাগুলোর বিজ্ঞাপনের আয়েও ভাগ বসাচ্ছে এই দুই প্রতিষ্ঠান।
বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম দ্য হিল এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
টরোন্টো স্টারের অনুসন্ধানী প্রতিবেদক কেনিয়ন ওয়ালেস এক টুইটে লেখেন, ‘আমি খুব সহজ একটা প্রশ্ন করছি, যদি সংবাদ বলে কিছু না থাকে, তাহলে কী ঘটবে? গুগল ও ফেসবুক বেশির ভাগ বিজ্ঞাপনের আয়ই নিয়ে যাচ্ছে। অথচ প্রথাগত সংবাদমাধ্যমগুলো এই আয়ের ওপরেই নির্ভরশীল।’
নিজেদের সাদা পৃষ্ঠার নিচে টরোন্টো স্টার লিখেছে, ‘একচেটিয়াভাবে কোম্পানি দুটি অনলাইন বিজ্ঞাপনের শতকরা ৮০ ভাগ আত্মসাৎ করে। এই করপোরেট প্রতিষ্ঠান দুটি কানাডার সাংবাদিক ও সংবাদমাধ্যমের লাভে চলে। অথচ তারা এর জন্য কোনো মূল্য পরিশোধ করে না।’
নাভনিট অ্যালাং নামে একজন কলামিস্ট অস্ট্রেলিয়ার উদাহরণ টেনে লিখেছেন, ‘কীভাবে গুগল-ফেসবুককে নিয়ন্ত্রণে আনা হবে সেটি নিয়ে আলোচনা হতে পারে। কিন্তু পরিষ্কার যে, বাধাহীন ইন্টারনেট লুটপাটের যুগ শেষ হওয়া দরকার।’
সরকারি সিদ্ধান্তের পর অস্ট্রেলিয়ায় সংবাদমাধ্যমগুলোকে লাভের ভাগ দিতে বাধ্য হচ্ছে গুগল ও ফেসবুক।