ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) উদ্যোগে রোববার হাওড়ার ডুমুরজলা ময়দানে এক জনসভা ও যোগদান মেলার আয়োজন করা হচ্ছে।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যাপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে অনেক নেতা বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন-এই সম্ভাবনায় আয়োজন করা হচ্ছে এই জনসভা ও যোগদান মেলার। রোববার বিকেলে শুরু হবে এই জনসভা।
কিছুদিন আগে বিজেপি নেতাদের প্রকাশ্যে গালি দিলেও এখন দেখা যাচ্ছে বহু তৃণমূল নেতাই ‘জয় শ্রীরাম’ বলে যোগ দিচ্ছেন সেই দলেই। এই দলবদলে বেসামাল তৃণমূলের কটাক্ষ, ‘উচ্ছিষ্টরাই দল ছাড়ছে’।
শনিবার কলকাতা থেকে ভাড়া করা বিমানে দিল্লি গিয়ে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপির সাবেক সভাপতি অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করেন তৃণমূলের বেশ কয়েকজন নেতা।
এই দলে ছিলেন সদ্য পদত্যাগী মন্ত্রী রাজীব ব্যানার্জি, বিধায়ক বৈশাখি ডালমিয়া, প্রবীর ঘোষাল, সাবেক পুরপ্রশাসক পার্থসারথি চ্যাটার্জি প্রমুখ। বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায় ও সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয় তাঁদের নিয়ে যান।
অমিত শাহ তাঁদের গেরুয়া উত্তরীয় পরিয়ে দলে বরণ করেন। বিজেপিতে যোগ দিয়ে রাজীবের প্রতিক্রিয়া, ‘উন্নত বাংলার পথে নতুন করে যাত্রা শুরু।’ তিনি জানান, রোববার হাওড়ার ডুমুরজলা স্টেডিয়ামে যোগদান মেলায় আরও অনেকে যোগ দেবেন।
বিজেপি সূত্রের খবর, তৃণমূলকে খালি করাই তাঁদের লক্ষ্য। বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারির দাবি, 'আরও ভাঙবে তৃণমূল'। খোদ মমতা ব্যানার্জির পরিবার থেকেও বিজেপিতে যোগদান করবেন বলেও দাবি করেন তিনি।
অন্যদিকে, তৃণমূল নেতা ও রাজ্যের সাবেকমন্ত্রী মদন মিত্র বলেন, ‘দলের উচ্ছিষ্টরাই বিজেপিতে যাচ্ছেন। এতে কোনও ক্ষতি হবে না। মমতা ব্যানার্জির নেতৃত্বেই হ্যাট্রিক হবে। ফের সরকার গড়বে তৃণমূল।’
যোগদান মেলায় অমিত শাহের উপস্থিত হওয়ার কথা থাকলেও দিল্লিতে ইসরায়েলি দূতাবাসের সামনে বিস্ফোরণের কারণে তিনি সশরীরে আসছেন না। তবে ভার্চুয়ালি ভাষণ দেবেন।
প্রধান বক্তা হিসেবে ওই সভায় উপস্থিত থাকবেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি নেত্রী স্মৃতি ইরানি। এছাড়াও দলের রাজ্য ও জেলা নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন ওই সভায়।