ভারতের পশ্চিমবঙ্গে জমে উঠেছে ভোটযুদ্ধ। একদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূল কংগ্রেস। অন্যদিকে, ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। লড়াইয়ের ময়দানে রয়েছে বাম ও কংগ্রেসের জোটও।
মূল লড়াই দুই ফুলের। তৃণমূলের ঘাসফুল নির্বাচনী প্রতীক। বিজেপির প্রতীক পদ্মফুল। বামেদের মধ্যে সিপিএমের কাস্তে-হাতুড়ি-তারা, সিপিআই কাস্তে ধানের শিস, ফরোওয়ার্ড ব্লক সিংহ আর আরএসপি বেলচা-কোদাল প্রতীক নিয়ে ভোটযুদ্ধে অবতীর্ণ।
কংগ্রেস লড়ছে হাত প্রতীকে। তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা নিশ্চিত লড়াই হবে দুই ফুলেরই। ঘাসফুলকে পিছনে ফেলে পদ্ম এবার পশ্চিমবঙ্গের মসনদ দখলে মরিয়া।
দুই ফুলের লড়াই জমে উঠেছে ‘জয় শ্রীরাম’ শ্লোগানে। বিজেপির জয় শ্রীরাম শ্লোগান মমতার অপছন্দ। বছর দুয়েক আগে গাড়ি থেকে নেমে ধাওয়াও করেছিলেন তিনি শ্লোগানদাতাদের।
এবার খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপস্থিতিতে সরকারি অনুষ্ঠানে জয় শ্রীরাম শ্লোগান ওঠায় ‘বেইজ্জত’-এর অভিযোগ তুলে বক্তৃতাই বন্ধ করেন দেন তিনি। পাল্টা হিসেবে অবশ্য শুনিয়ে দেন ‘জয় বাংলা’ শ্লোগান।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সরকারি অনুষ্ঠানে জয় শ্রীরাম শ্লোগান নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। বিজেপিরও বহু নেতা এই ঘটনার বিরোধিতা করেছেন। বিজেপি বিরোধীরা দলমত নির্বিশেষে সরকারি অনুষ্ঠানে এধরনের ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
তবে পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ অবশ্য জয় শ্রীরাম শ্লোগানে কোনও ভুল হয়েছে মানতে নারাজ। তার সাফাই, জয় শ্রীরাম ভারতীয়দের পরম্পরা। বরং জয় বাংলার সমালোচনা করেন তিনি।
দিলীপ বলেন, ‘অন্য দেশ থেকে জয় বাংলা (পড়ুন বাংলাদেশ থেকে) শ্লোগান ধার করে এনে বাংলাকে অপমান করা হয়েছে। অন্য দেশ থেকে মানুষ নিয়ে আসছে। ভোটার নিয়ে আসছে। এবার শ্লোগানও নিয়ে আসছে তৃণমূল!’