যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে জো বাইডেনের শপথ নেয়ার দুই দিন আগে দেশটির বেশ কয়েকটি অঙ্গরাজ্যের আইনসভা ভবনের বাইরে সশস্ত্র বিক্ষোভ হয়েছে।
টেক্সাস, অরেগন, মিশিগান এবং ওহাইও অঙ্গরাজ্যের ক্যাপিটল ভবনের বাইরে বিক্ষোভ চলছে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
তবে দেশটির অন্য অনেক অঙ্গরাজ্যের আইনসভা ভবন প্রাঙ্গণ রোববার শান্ত ছিল।
বুধবার বাইডেনের অভিষেক অনুষ্ঠানকে ঘিরে সশস্ত্র বিক্ষোভের বিষয়ে সতর্ক করেছিল দেশটির কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরো এফবিআই। এরপর যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
বাইডেন ক্ষমতায় বসার দুই সপ্তাহ আগে ৬ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফল পাল্টে দিতে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস ভবন ক্যাপিটল হিলে হামলা ও ভাঙচুর চালায় ট্রাম্পের সমর্থকেরা। ওই সময় সেখানে বাইডেনের জয়ের স্বীকৃতি দিতে কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশন চলছিল। হামলার ঘটনায় এক পুলিশ কর্মকর্তাসহ পাঁচ জনের মৃত্যু হয়।
এই সহিংসতায় উসকানি দেয়ার অভিযোগে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে নিন্দার ঝড় ওঠে। তাকে অভিশংসিত করে কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভস।
সম্ভাব্য আরও হামলার আশঙ্কায় রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসির ক্যাপিটল হিলসহ দেশজুড়ে অন্যান্য রাষ্ট্রীয় স্থাপনায় নেয়া হয়েছে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা। রাজধানীসহ প্রায় সব অঙ্গরাজ্যে হাজার হাজার ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েনসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার প্রবেশপথে ব্যারিকেড বসানো হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রোববার সশস্ত্র বিক্ষোভের আহ্বান জানিয়েছিলেন ট্রাম্পের কট্টর ডানপন্থি সমর্থকেরা।
বিবিসির প্রতিবেদনটি লেখা পর্যন্ত কেবল ডজনখানেক সমর্থকদের কয়েকটি শহরে বিক্ষোভ করতে দেখা গেছে। এতে ওই শহরগুলোর আইনসভা ভবনের আশপাশের রাস্তা জনমানবশূন্য হয়ে পড়ে।
দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, ওহাইয়ো অঙ্গরাজ্যের কলাম্বাস শহরে আইনসভা ভবনের বাইরে কট্টর ডানপন্থি সংগঠন ‘বুগেলু মুভমেন্টের’ প্রায় ২৫ সদস্য সশস্ত্র অবস্থায় জড়ো হয়েছেন।
মিশিগানের ল্যানসিং শহরে আইনসভা ভবনের বাইরে রাইফেল হাতে প্রায় ২৪ ব্যক্তি বিক্ষোভ করেন। এদের এক জন বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘সহিংস হতে এখানে আসিনি। আশা করছি, অন্যরাও সহিংস হবেন না।’