করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ছড়িয়ে পড়া রোধে যুক্তরাজ্যের সব প্রবেশপথ বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে সরকার।
স্থানীয় সময় সোমবার ভোর চারটা থেকে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।
শনিবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে।
শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে বরিস জনসন বলেন, ‘টিকার ওপর আমাদের ভরসা রয়েছে। তবে অন্য দেশ থেকে আসা করোনার নতুন ধরন ঠেকাতে বাড়তি সতর্কতা নিতে হবে।’
প্রবেশপথ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কার্যকর থাকবে বলেও জানান তিনি।
যুক্তরাজ্যজুড়ে লকডাউন চলছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া নাগরিকরা বের হতে পারছেন না।
বিমানে বা জাহাজে করে কেউ দেশটিতে এলে ১০ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকা বাধ্যতামূলক করেছে সরকার। এর পাঁচ দিন পর করোনা পরীক্ষার নিয়মও রাখা হয়েছে।
এর আগে শুক্রবার দক্ষিণ আমেরিকার কয়েকটি দেশ ও পর্তুগাল থেকে যাত্রী আসায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল যুক্তরাজ্য।
সেপ্টেম্বরে যুক্তরাজ্যে করোনার একটি নতুন ধরনের সন্ধান পান গবেষকরা। করোনার যে ধরনটি বর্তমানে মহামারি তৈরি করেছে এটি তার চেয়ে বেশি সংক্রামক বলে জানিয়েছেন তারা।
জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, যুক্তরাজ্যে এ পর্যন্ত ৩২ লাখ ৬৯ হাজার ৭৫৭ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৮৬ হাজার ১৬৩ জন।