বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু ২০ লাখ ছাড়িয়েছে। চীনের উহান শহরে করোনাভাইরাসে প্রথম মৃত্যুর এক বছর পর শুক্রবার মৃত্যুর সংখ্যা এ মাইলফলক ছুঁলো।
জন হপকিন্স ইউনিভার্সিটির তথ্য থেকে দেখা যাচ্ছে, শুক্রবার রাত ১২টা পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২০ লাখ ২ হাজার ৪৬৮ জন। আর বিশ্বব্যাপী শনাক্ত হয়েছে ৯ কোটি ৩৩ লাখ ৯৭ হাজার ৬০৭ জন। অর্থাৎ এ রোগে আক্রান্তের সংখ্যা ১০ কোটির দিকে যাচ্ছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনাভাইরাসে মৃত্যুর প্রকৃত সংখ্যা আরও অনেক বেশি হবে। শুধুমাত্র যাদের দেহে ভাইরাস শনাক্ত হয়ে নথিভূক্ত হয়েছে, তাদের এই হিসাবের মধ্যে রাখা গেছৈ। কিন্তু এর বাইরেও অসংখ্য মানুষ মারা গেছেন যাদের করোনা পরীক্ষাই করা হয়নি। সেই সংখ্যা ধরলে হিসাবটা আরও বেশি হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটলের ইউনিভার্সিটি অফ ওয়াশিংটনের হেলথ মেট্রিকস অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশন ইনস্টিটিউটের পরিচালক ক্রিস্টোফার মারে বলেন, মৃত্যুর বিশ্লেষণ থেকে অনুমান করা যায়, এক-পঞ্চমাংশ মৃত্যু নথিভূক্ত হয়নি।
এক ইমেইলে সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে তিনি বলেন, ‘আমরা দেখতে পেয়েছি, নথিভূক্ত মৃত্যুর তুলনায় প্রকৃত মৃত্যু আরও ২০ শতাংশ বেশি।’
বেশ কিছু দেশে এরই মধ্যে করোনাভাইরাসের টিকা দেয়া শুরু হওয়ায় কিছুটা আশা দেখা যাচ্ছে মৃত্যু কমে আসার।
অনেক দেশ কিছু বুঝে ওঠার আগেই সেগুলোতে এ রোগ ছড়িয়ে পড়ায় প্রথম ধাক্কায় মৃত্যু বেশি ছিল।
বিশ্বজুড়ে মৃত্যুর সংখ্যা প্রথম ১০ লাখ ছাড়াতে সময় নেয় আট মাস। কিন্তু পরবর্তী ১০ লাখ মৃত্যু হতে সময় লেগেছে চার মাসের কম।
সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটিতে মৃত্যুর সংখ্যা ৩ লাখ ৯০ হাজার ১৯৫ জন। এরপর ২ লাখ ৭ হাজার মৃত্যু নিয়ে তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে ব্রাজিল, ভারতে মৃত্যুর সংখ্যা ১ লাখ ৫১ হাজার ১১৮ জন।
এ ছাড়া বেশি মৃত্যু হয়েছে মেক্সিকো, যুক্তরাজ্য, ইতালি, ফ্রান্স, রাশিয়া, ইরান, স্পেন, কলম্বিয়া, জার্মানি পেরু।
বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত করোনা শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ২৬ হাজার ৪৮৫ জনে। আর আক্রান্ত হয়ে মৃত্য হয়েছে ৭ হাজার ৮৬২ জনের।
চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর অজানা এক ভাইরাসের খবর পাওয়া যায়। পরে ২০২০ সালের ১২ জানুয়ারি চীন নভেল করোনাভাইরাসের জেনেটিক সিকোয়েন্স প্রকাশ করে।