বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

তালেবানের কাছে আত্মসমর্পণ যুক্তরাষ্ট্রের ভুল: আফগান নেতা

  •    
  • ১৫ জানুয়ারি, ২০২১ ১১:০৯

‘তালেবানের কাছে যুক্তরাষ্ট্র অনেক বেশি আত্মসমর্পণ করে ভুল করেছে। আফগানিস্তান থেকে সন্ত্রাসবাদ নির্মূলে ২০ বছর আগে শুরু হওয়া যুক্তরাষ্ট্রের মিশন এখনও শেষ হয়নি। অস্থিতিশীল আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার সহিংসতার ঝুঁকি আরও বাড়াবে।’

আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রের আরও আড়াই হাজার সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তকে ভুল হিসেবে মন্তব্য করেছেন আফগান ভাইস প্রেসিডেন্ট আমরুল্লাহ সালেহ।

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেন।

সালেহ বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তালেবানের বৈঠক ভুল ছিল না। তবে দলটিকে ‘ব্যাপক ছাড়’ দিয়ে ট্রাম্প প্রশাসন ভুল করেছে।

তিনি বলেন, ‘তালেবানের কাছে যুক্তরাষ্ট্র অনেক বেশি আত্মসমর্পণ করে ভুল করেছে। আফগানিস্তান থেকে সন্ত্রাসবাদ নির্মূলে ২০ বছর আগে শুরু হওয়া যুক্তরাষ্ট্রের মিশন এখনও শেষ হয়নি। অস্থিতিশীল আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার সহিংসতার ঝুঁকি আরও বাড়াবে।’

গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প তালেবান যোদ্ধাদের সঙ্গে শান্তিচুক্তি করে আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে সম্মত হন। সেই চুক্তি অনুযায়ী সামনে আরও আড়াই হাজার যুক্তরাষ্ট্রের সেনা আফগানিস্তান ছাড়ার কথা।

দুই পক্ষের মধ্যে স্বাক্ষরিত ওই চুক্তিতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্র ন্যাটোভুক্ত দেশ আগামী ১৪ মাসের মধ্যে সব সেনা প্রত্যাহার করবে। বিনিময়ে তালেবান আফগানিস্তানে হামলা চালানো থেকে বিরত থাকবে। একই সঙ্গে নিজেদের নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে আল-কায়েদা বা অন্য জঙ্গি সংগঠনকে কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে দেবে না।

চুক্তির পর আন্তর্জাতিক সেনাদের ওপর তালেবানরা হামলা চালানো বন্ধ করলেও আফগানিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলা অব্যাহত রেখেছে।

আফগানিস্তানের ভাইস প্রেসিডেন্ট আমরুল্লাহ সালেহ। ছবি: এএফপি

আফগান ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘চুক্তির সময় যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা আমাদের নানাভাবে আশ্বস্ত করেন, পাঁচ হাজার তালেবান বন্দিদের মুক্তি দিলে কোনো সহিংসতা হবে না। আমাদের গোয়েন্দা সংস্থার কাছে ভিন্ন তথ্য আছে- এটা তাদের বোঝাতে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করি। বন্দিদের মুক্তি দিলে সহিংসতা বাড়বে বলেও জানাই তাদের এবং আদতে তাই হয়েছে।’

আল-কায়েদার সঙ্গে তালেবানরা সম্পর্ক ছিন্ন করেনি বলেও জানান সালেহ।

সালেহ বলেন, ‘তালেবানরা সন্ত্রাসী ছিল। তারা এখনও তাই আছে। নারী, অ্যাক্টিভিস্ট ও অধিকারকর্মীদের তারা হত্যা করছে।’

আফগানিস্তানে সেনা বহাল রাখতে যুক্তরাষ্ট্রকে অনুরোধ করা হবে না জানিয়ে সালেহ বলেন, ‘সহযোগিতার জন্য আমরা তাদের কাছে কৃতজ্ঞ। তবে আমার দেশের ভাগ্য যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর ওপর নির্ভর করছে না।’

আফগানিস্তানের বেশ কিছু অঞ্চলে নিয়ন্ত্রণ শক্তিশালী করতে চায় তালেবান। আর এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দেশটির সরকারের সঙ্গে তাদের যুদ্ধ চলছে।

২০০১ সালে টুইন টাওয়ারে সন্ত্রাসী হামলার পর আফগানিস্তানে হামলা চালিয়ে তালেবানদের ক্ষমতাচ্যুত করে যুক্তরাষ্ট্র। পরে তালেবানরা শক্তিশালী হয়ে ২০১৮ সালের মধ্যে আফগানিস্তানের দুই-তৃতীয়াংশেরও বেশি অঞ্চলে সক্রিয় হয়ে ওঠে। পাশাপাশি দেশটির নির্বাচিত সরকারকেও ক্ষমতাচ্যুত করার হুমকি দেয় তারা।

গত ২০ বছরে তালেবানদের সঙ্গে যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ২ হাজার ৪০০ সেনাসহ হাজার হাজার আফগান নাগরিক নিহত হয়। দেশটি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সব সেনা প্রত্যাহার করা হবে বলে জানিয়ে আসছিলেন ট্রাম্প।

এ বিভাগের আরো খবর