ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বিধানসভা ভোটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেস হারছেই। শনিবার পূর্ব বর্ধমানে এমনই দাবি করলেন বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা। জবাবে তৃণমূল বলছে, ‘পুরোটাই দিবাস্বপ্ন!’
শনিবার পশ্চিমবঙ্গে ‘এক মুঠো চাল সংগ্রহ’ করতে আসেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। তিনি ‘কৃষক সুরক্ষা যোজন কর্মসূচির’ সূচনা করেন পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ায়। বর্ধমানে রোড-শোও করেন নাড্ডা।
কাটোয়ার জনসভায় নাড্ডা বলেন, ‘মমতা দিদি হারছেন। তাই এতো ভয় পেয়েছেন।’ তার অভিযোগ, ব্যাপক দুর্নীতিতে যুক্ত তৃণমূল। আমপানের ক্ষতিপূরণ থেকে রেশনের চাল চুরির অভিযোগে সোচ্চার হন তিনি।
নাড্ডা এদিন ঘোষণা করেন, ২৪ থেকে ৩১ জানুয়ারি পশ্চিমবঙ্গের ৪০ হাজার গ্রামে 'কৃষক ভোজ'-এর আয়োজন করবে বিজেপি। এর জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে চাল সংগ্রহেরও সূচনা করেন তিনি।
এদিন দুপুরে কাটোয়ার মথুরা মন্ডল নামে এক কৃষকের বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজও করেন তিনি। তার সঙ্গে ছিলেন দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ও সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয়।
বিজেপির এই ‘কৃষক প্রেমের’ এক কড়া সমালোচনা করেছে তৃণমূল। তৃণমূল নেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের কটাক্ষ, ‘দিল্লিতে ঠান্ডার মধ্যে কৃষকেরা আন্দোলন করছেন কেন্দ্রের বিরুদ্ধে। সেখানে না গিয়ে বাংলায় এসে কৃষকপ্রেম দেখাচ্ছেন বিজেপি নেতারা।’
বিজেপির পশ্চিমবঙ্গের জয়ের সম্ভাবনাকেও উড়িয়ে দেন চন্দ্রিমা। তার পাল্টা দাবি, ‘দিবাস্বপ্ন দেখছেন তারা। বিজেপি তো আসলে আদি, নব্য আর পর্যটকদের লড়াইয়ে ব্যস্ত।’
আদি বলতে বহুকাল ধরে যারা বিজেপি করছেন তাদের বুঝিয়েছেন চন্দ্রিমা। নব্য বলতে সদ্য দলবদল করা নেতাদের বোঝানো হয়। আর পর্যটক হচ্ছেন দিল্লি থেকে আসা সর্বভারতীয় নেতারা।