বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শেষ ১৩ দিন কি টিকবেন ট্রাম্প

  •    
  • ৮ জানুয়ারি, ২০২১ ২৩:৪৬

ডনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিসংশন প্রস্তাব আনার প্রস্তুতি নিচ্ছেন ডেমোক্র্যাট কংগ্রেস সদস্যরা। ট্রাম্পের নিজ দল রিপাবলিকান পার্টির অনেক সদস্যেরও এতে সম্মতি আছে। 

যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্রের প্রতীক খ্যাত ক্যাপিটল হিলে নজিরবিহীন তাণ্ডব চালানোর পর সবকিছুর নিয়ন্ত্রণ হারাতে শুরু করেছেন ডনাল্ড ট্রাম্প। পড়েছেন আগেভাগেই ক্ষমতা হারানোর শঙ্কায়।

হোয়াইট হাউজে তার মেয়াদের আর ১৩ দিন বাকি আছে। আগামী ২০ জানুয়ারি জো বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিলে চার বছরের কর্মস্থল হোয়াইট হাউজ ছাড়বেন ট্রাম্প।

তবে এই শেষ ১৩ দিনও ট্রাম্প এখানে থাকতে পারবেন কি না, তা নিয়ে গভীর সংশয় দেখা দিয়েছে। এর মধ্যে তিনি আরও কোনো অঘটন ঘটিয়ে বসেন কি না তা নিয়েও শঙ্কিত সবাই।

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিসংশন প্রস্তাব আনার প্রস্তুতি নিচ্ছেন ডেমোক্র্যাট কংগ্রেস সদস্যরা। ট্রাম্পের নিজ দল রিপাবলিকান পার্টির অনেক সদস্যেরও এতে সম্মতি আছে।

বাইডেনের জয়ের চূড়ান্ত স্বীকৃতি দিতে ক্যাপিটল ভবনে বুধবার কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনের মধ্যে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফল ঘুরিয়ে দেয়ার চেষ্টায় ট্রাম্প সমর্থকদের ব্যাপক তাণ্ডবের পর থেকেই ফুঁসছে যুক্তরাষ্ট্র।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা ও পারমাণবিক অস্ত্র প্রয়োগ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তটা নিয়ে থাকেন প্রেসিডেন্টই। এমন অবস্থায় ‘আনপ্রেডিক্টেবল’ ট্রাম্পের ওপর মোটেও আস্থা রাখতে পারছেন না ডেমোক্র্যাট আইনপ্রণেতারা।

এমন অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের ২৫তম সংশোধনী অনুযায়ী ট্রাম্পকে সরানোর দাবি ক্রমেই জোরালো হচ্ছে। শক্তি হারাচ্ছেন ট্রাম্পও। হোয়াইট হাউজের একের পর এক কর্মকর্তা পদত্যাগ করছেন। নীরব হয়ে যাচ্ছেন এক সময়কার সরব সহযোগীরাও।

কংগ্রেসের উচ্চ কক্ষ সিনেটে ডেমোক্র্যাটদের নেতা চাক শুমার ও নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি সভার স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি এরই মধ্যে ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছেন। তাকে দ্রুত সংবিধানের ২৫তম সংশোধনী অনুযায়ী ট্রাম্পের স্থলাভিষিক্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।

ট্রাম্পের পক্ষে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তার সমর্থকরা

অভিসংশনের বাইরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টকে অপসারণের বিশেষ বিধান সংবিধানের ২৫তম সংশোধনী। প্রেসিডেন্ট কোনো কারণে তার দায়িত্ব পালনের অনুপযুক্ত হলে এই বিধান অনুযায়ী তাকে অপসারণ করা যায়। তবে এই প্রস্তাবটি আনতে হবে ভাইস প্রেসিডেন্টকে।

ন্যান্সি পেলোসি বলেন, ‘এই বিপজ্জনক ব্যক্তি আমাদের দেশের আরও ক্ষতি করতে পারে…আমাদের গণতন্ত্রের ওপর আক্রমণ চালাতে পারে।’

তবে ডেমোক্র্যাটদের আহ্বানে এখনও সাড়া দিচ্ছেন না ভাইস প্রেসিডেন্ট পেন্স।

কংগ্রেসের নিম্নকক্ষে মিনেসোটার ডেমোক্র্যাট প্রতিনিধি ইলহাম ওমর জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্টকে অভিশংসন করতে নতুন উপায় খতিয়ে দেখছেন তিনি।

ইলহাম টুইটারে লিখেছেন- ‘ডনাল্ড ট্রাম্পকে প্রতিনিধি সভা ও সিনেটে অভিশংসিত করা উচিত। আমরা তাকে অফিসে থাকতে দিতে পারি না। এটা আমাদের প্রজাতন্ত্রকে রক্ষা করার বিষয় এবং এই শপথ আমাদের মানা উচিত।’

রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান হয়েও ট্রাম্পকে সরে দাঁড়াতে আহ্বান জানিয়েছেন ইলিনয়ের অ্যাডাম কিনজিংগার। ট্রাম্পের কারণেই ক্যাপিটল হিলে তাণ্ডব হয়েছে বলে দাবি তার।

‘সত্যিটা হলো, ট্রাম্পের কারণেই তা হয়েছে। এই প্রেসিডেন্ট অযোগ্য এবং এই প্রেসিডেন্ট সুস্থ নন। ইচ্ছা বা অনিচ্ছায় প্রেসিডেন্টকে অবশ্যই নির্বাহী ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়াতে হবে।’

সহিংসতার মধ্যেই বুধবার কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে জো বাইডেনকে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে দেয়ায় ক্ষমতা আকড়ে থাকার আর কোনো পথ নেই ট্রাম্পের।

নিয়মানুযায়ীই ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন বলে জানিয়েছেন কোণঠাসা হয়ে পড়া ট্রাম্প। এ বিষয়ে বিবৃতি ও ভিডিও বার্তায় নিশ্চিয়তাও দিয়েছেন। তবে ৩ নভেম্বরের নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগ থেকে এখনও সরে আসেননি তিনি।

এ বিভাগের আরো খবর