যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্রের প্রতীক কংগ্রেস ভবন ক্যাপিটল হিলে নজিরবিহীন তাণ্ডবের পর প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পকে আগেভাগে ক্ষমতা থেকে সরানোর ডাক দিয়েছেন ডেমোক্র্যাট নেতারা।
বুধবারের হামলার জন্য ট্রাম্পকে সরাসরি দুষছেন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি সভার স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। বিদায়ী প্রেসিডেন্টকে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ‘সশস্ত্র বিদ্রোহের’ অভিযোগ তুলেছেন তিনি।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার ক্যাপিটল হিলে এক সংবাদ সম্মেলনে পেলোসি বলেন, ‘এই প্রেসিডেন্ট আমাদের জাতির বিরুদ্ধে এক অবর্ণনীয় আক্রমণে জড়িত।’
এর আগে পেলোসি ও মার্কিন কংগ্রেসের উচ্চ কক্ষ সিনেটে ডেমোক্র্যাটদের নেতা চাক শুমার টেলিফোনে ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেন। দ্রুত সংবিধানের ২৫তম সংশোধনী অনুযায়ী ট্রাম্পের স্থলাভিষিক্ত হতে তাকে আহ্বান জানান তারা।
যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের ২৫তম সংশোধনী অনুযায়ী কোনো কারণে প্রেসিডেন্ট দায়িত্ব পালনে অক্ষম হলে তার স্থলাভিষিক্ত হতে পারেন ভাইস প্রেসিডেন্ট। তবে ডেমোক্র্যাটদের এমন আহ্বানে এখনও সাড়া দেননি পেন্স।
জো বাইডেনের জয়ের চূড়ান্ত স্বীকৃতি দিতে ক্যাপিটল ভবনে বুধবার কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনের মধ্যে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফল ঘুরিয়ে দেয়ার চেষ্টায় ব্যাপক তাণ্ডব চালায় ট্রাম্প সমর্থকরা।
এদিন কয়েক ঘণ্টার জন্য পুরো ওয়াশিংটন ডিসিকেই অচল করে দিয়েছিল ট্রাম্পের সমর্থকেরা। ব্যাপক সহিংসতায় অন্তত চার জন নিহত হয়েছেন। আহত অর্ধশতাধিক।
কিন্তু এসব কিছু টলাতে পারেনি কংগ্রেসের অধিবেশনকে। যৌথ অধিবেশনে বাইডেনকেই যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
ফলে নির্বাচনের ফল ঘুরিয়ে দেয়ার আর কোনো উপায় রইল না ট্রাম্পের। এখন তার বিদায়ের পালা।
২০ জানুয়ারি দুপুরে শপথ গ্রহণের মধ্য দিয়ে হোয়াইট হাউজের নতুন বাসিন্দা হবে বাইডেন। বিদায় হবে ট্রাম্পের। কিন্তু এর আগেই তাকে বিদায় করতে তৎপর হয়ে উঠেছে ডেমোক্র্যাট শিবির।