যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যে কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটের দুইটি আসনে নির্বাচনের একটিতে জয় পেয়েছেন ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী।
বুধবার সিনেটের ওই আসনে ডেমোক্র্যাট রেভারেন্ড রাফায়েল ওয়ারনক জয়ী হন বলে এএফপির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
কৃষ্ণাঙ্গ যাজক ওয়ারনক রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী সিনেটর কেলি লোফলারকে অল্প ভোটে হারিয়েছেন।
সিনেটের আরেকটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডেভিড পারডু ও ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী ডকুমেন্টারি ফিল্মমেকার জন অসফ।
বাইডেন শাসনের প্রথম দুই বছর কোন দল সিনেট নিয়ন্ত্রণ করতে যাচ্ছে, তা জর্জিয়ার এ সিনেট নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জানা যাবে।
গত বছরের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনেও জর্জিয়ায় দুই দলের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়।
সে সময় যুক্তরাষ্ট্রের বুথ-পরবর্তী জরিপবিষয়ক গবেষণা সংস্থা এডিসনের জরিপে দেখা যায়, ৫ হাজার ২০০ জনেরও বেশি ভোটারের মধ্যে অর্ধেক ভোট দেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ও রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডনাল্ড ট্রাম্পকে। বাকিরা ভোট দিয়েছিলেন তার প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী জো বাইডেনকে।
সিনেট কোন দলের নিয়ন্ত্রণে থাকা উচিত, এ নিয়ে তখনও ভোটাররা দ্বিধায় ছিলেন।
সিনেটের নিয়ন্ত্রণ নিতে ডেমোক্র্যাটদের অবশ্যই জর্জিয়ার ওই দুই আসনে জিততে হবে। ডেমোক্র্যাটরা জয়ী হলে সিনেটে উভয় পার্টির সদস্য সংখ্যা সমান (৫০-৫০) হবে।
তাই যদি হয় পরিস্থিতি, তবে ২০ জানুয়ারি বাইডেন ও তার রানিং মেট কমলা হ্যারিস আনুষ্ঠানিকভাবে হোয়াইট হাউজের দায়িত্ব নেয়ার পর কমলাকে টাই-ব্রেকিং ভোট নিতে হবে।
অন্যদিকে জর্জিয়ার সিনেট নির্বাচনে জয়ের মাধ্যমে রিপাবলিকানরা সিনেটের নিয়ন্ত্রণ নিলে বাইডেনের রাজনৈতিক ও বিচারিক নিয়োগে ভেটো দিতে পারবেন তারা। পাশাপাশি অর্থনৈতিক সমস্যা নিরসন, জলবায়ু পরিবর্তন, স্বাস্থ্যসেবা ও ফৌজদারি আইনে বিচারের ক্ষেত্রে বাইডেনের সিদ্ধান্তে ভেটো দেয়ার ক্ষমতা থাকবে তাদের।
কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউজ অফ রিপ্রেজেন্টেটিভস এখন ডেমোক্র্যাটদের দখলে। তবে তাদের সংখ্যা রিপাবলিকানদের চেয়ে খুব বেশি নয়।