দক্ষিণ আফ্রিকায় পাওয়া করোনাভাইরাসের নতুন ধরনের ক্ষেত্রে করোনা টিকা নাও কাজে নিতে পারে বলে আশঙ্কা যুক্তরাজ্যের বিজ্ঞানীদের।
উদ্বেগ প্রকাশ করে তারা বলেছেন, টিকা প্রয়োগের পর তৈরি হওয়া প্রতিরোধ ক্ষমতা ফাঁকি দিতে সক্ষম নতুন ধরনটি। বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানককও।
ডিসেম্বরে যুক্তরাজ্যে করোনাভাইরাসের একটি নতুন ধরন ছড়িয়ে পড়ে। বর্তমানে যে ধরনটি মহামারি ছড়াচ্ছে, এটি তার চেয়ে ৭০ শতাংশ বেশি সংক্রামক বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
এর কয়েক দিন পরেই দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনার আরেকটি নতুন ধরন পাওয়ার খবর জানায় দেশটির স্বাস্থ্য বিভাগ।
ইতোমধ্যে, যুক্তরাজ্যে দক্ষিণ আফ্রিকার করোনার ধরনে আক্রান্ত কয়েকজন রোগীও পাওয়া গেছে।
সোমবার বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে যুক্তরাজ্যের রিডিং বিশ্ববিদ্যালয়ের অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সিমন ক্লার্ক বলেন, ‘যুক্তরাজ্য ও দক্ষিণ আফ্রিকায় পাওয়া করোনার নতুন ধরন দুটির মধ্যে মিল রয়েছে। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকায় পাওয়া ধরনটিতে বাড়তি মিউটেশন (জীনগত পরিবর্তন) ঘটেছে।’
আরও পড়ুন: সাউথ আফ্রিকা থেকে ছড়াচ্ছে আরেক ধরনের করোনা
তিনি বলেন, ‘ভাইরাসটি যে স্পাইক প্রোটিন ব্যবহার করে মানব কোষকে আক্রান্ত করে সেটিতেও ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। টিকা দেয়ার পর সৃষ্ট প্রতিরোধ ক্ষমতা নতুন ধরনটিকে নাও শনাক্ত করতে পারে।’
তবে এখন পর্যন্ত উদ্ভাবিত করোনা টিকা নতুন ধরনকে ঠেকাতে পারবে এমন প্রমাণ এখনও পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে যুক্তরাজ্যের জনস্বাস্থ্য বিভাগ।
বিবিসিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে স্বাস্থ্যমন্ত্রী হ্যানকক বলেন, ‘আমি দক্ষিণ আফ্রিকায় পাওয়া নতুন ধরনটি নিয়ে খুবই উদ্বিগ্ন। এ কারণে আমরা দেশটি থেকে বিমান আসা বন্ধ রেখেছি। দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আগতদেরও আইসোলেশনে থাকতে বলা হয়েছে।’
বিভিন্ন দেশ এস্ট্রাজেনেকা ও অক্সফোর্ড, ফাইজার-বায়োএনটেক, মডার্না, স্পুতনিক এবং সিনোফার্মের করোনা টিকা প্রয়োগে অনুমোদন দিয়েছে। ট্রায়ালে রয়েছে আরও ৬০টি টিকা।