করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে চলা লকডাউন অমান্য করে ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে ভ্রমণে যাওয়ায় কানাডার অন্টারিও প্রদেশের অর্থমন্ত্রী রড ফিলিপ্সকে অপসারণ করা হয়েছে।
রড ফিলিপ্স গত ১৩ ডিসেম্বর ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে বিলাসবহুল ভ্রমণে যান। এরপরই তাকে মন্ত্রিসভা থেকে বাদ দেয়ার জন্য জনগণ জোর দাবি তোলেন। তিনি ৩১ ডিসেম্বর দেশে ফিরে আসার পর তাকে অপসারণ করা হয়েছে।
অন্টারিওতে করোনাভাইরাস সংক্রমণ দিন দিন বেড়েই চলেছে। বুধবার সবচেয়ে বেশি ৩৩২৮ জন করোনা রোগী শনাক্ত হন এবং মারা যান ৫৬ জন।
করোনার সংক্রমণে ঠেকাতে অন্টারিও প্রদেশে ২৬ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়েছে লকডাউন, চলবে ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত। এ সময়ের মধ্যে শুধু গ্রোসারি ও খাবার দোকান (ডেলিভারি) ছাড়া সবই বন্ধ থাকবে।
অর্থমন্ত্রীকে অপসারণের বিষয়ে জনগণের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে অন্টারিওর প্রিমিয়ার ডগ ফোর্ড বলেছিলেন, ‘আমি মন্ত্রীর কাছে জানিয়ে দিয়েছি যে তার ভ্রমণের সিদ্ধান্তটি সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য।’
তিনি বলেন, যেখানে অন্টারিওর জনগণকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে, সেখানে তারই মন্ত্রিসভার কোনো সদস্য নির্দেশ অমান্য করে দেশের বাইরে, এটা খুবই হতাশাজনক।
ফোর্ড আরও বলেন, ‘আমার অনুমতি ছাড়াই তিনি দেশের বাইরে যান এবং দেশ ছাড়ার পরে তিনি অনুমতি নেন।’
অর্থমন্ত্রী রড ফিলিপ্স অবশ্য এক বিবৃতিতে ক্ষমা চেয়ে বলেছিলেন, ‘এটি একটি ভুল সিদ্ধান্ত ছিল। আমি ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। অবিলম্বে অন্টারিওতে ফিরে আসার ব্যবস্থা করছি এবং আমি পৌঁছার পর ১৪ দিন ঘর থেকে বের হব না।’
বুধবার ফিলিপ্সের কার্যালয় থেকে সিবিসি নিউজকে জানানো হয় যে, মন্ত্রী এর আগে আগস্টে একবার সুইজারল্যান্ডে ভ্ৰমণে গিয়েছিলেন।
কানাডার অন্যান্য প্রদেশেও করোনা রোগী বেড়েই চলছে। দেশটির জনস্বাস্থ্য সংস্থার প্রাক্তন মহাপরিচালক ড. রোনাল্ড সেন্ট জন সিটিভি নিউজ চ্যানেলকে বলেন, পৃথিবীর প্রতিটি দেশে এই মহামারি দিন দিন বেড়েই চলেছে। কানাডাতেও এর ব্যতিক্রম হচ্ছে না।