নতুন বছরের শুরুর দিনটাতেই নতুন পরিচয় পেল যুক্তরাজ্য। চার বছরের প্রক্রিয়া শেষে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বেরিয়ে এসেছে দেশটি।
কিন্তু ইইউভুক্ত হয়ে থাকার মায়া কাটছে না যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের বাবা স্টেনলি জনসনের। ব্রেক্সিট কার্যকরের দিন জানিয়েছেন, ফ্রান্সের পাসপোর্ট পাওয়ার জন্য আবেদন করেছেন তিনি।
ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের সাবেক সদস্য স্টেনলি জনসনের অবস্থান শুরু থেকেই ব্রেক্সিট বিরোধী ছিল। এ বিষয়ে ২০১৬ সালে যুক্তরাজ্যে আয়োজিত গণভোটেও ব্রেক্সিটের বিপক্ষে ভোট দিয়েছিলেন তিনি।
ব্রেক্সিট বাস্তবায়নের দিন এক রেডিওকে স্টেনলি জানান, ফ্রান্সের নাগরিক হতে চান তিনি। কারণ দেশটির সঙ্গে পারিবারিকভাবে গভীর সম্পর্ক রয়েছে তার।
ফ্রান্সে আবেদন গৃহীত হলে দ্বৈত নাগরিকে পরিণত হবেন স্ট্যানলি। আর ইইউভুক্ত কোনো দেশের পাসপোর্টের অধিকারী হলে ওই দেশগুলোতে ভ্রমণেও কিছু সুবিধা পাবেন তিনি।
ফ্রান্সের নাগরিক হওয়ার ইচ্ছা প্রসঙ্গে ৮০ বছর বয়সী স্ট্যানলি বলেন, ‘নিজেকে যথাযথভাবে বুঝতে গেলে আমি একজন ফরাসি। আমার মায়ের জন্ম ফ্রান্সে, তার মা পুরোপুরি একজন ফরাসি, তার দাদাও। আমি যা সেটাই আমি পুনরায় দাবি করছি এবং বিষয়টা আমাকে খুব গর্বিত করে।’
ব্রেক্সিট কার্যকর হয়ে গেলেও সবসময়ই ইউরোপিয়ান হয়ে থাকবেন জানিয়ে স্ট্যানলি বলেন, ‘আমি সবসময়ই ইউরোপিয়ান হয়েই থাকব, নিশ্চিতভাবেই। কেউই ব্রিটিশ জনগণকে বলতে পারবে না: আপনারা ইউরোপিয়ান না। ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সঙ্গে সম্পর্ক রাখাটা গুরুত্বপূর্ণ।’
ব্রেক্সিটের পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন স্ট্যানলির ছেলে বরিস জনসন। ২০১৬ সালে ‘লিভ ইইউ’ ক্যাম্পেইনে জোরালো কন্ঠ ছিলেন তিনি।
সবসময় জনসনের দাবি, ইইউ থেকে বেরিয়ে আসলে ব্রিটেন আরও উন্নতি করবে। ইইউতে অনেক আমলাতান্ত্রিক জটিলতা রয়েছে বলেও মনে করেন তিনি।
তবে, গত বুধবার ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি চূড়ান্তভাবে অনুমোদনের পর অনেকটা নরম সুরে কথা বলেছেন জনসন।
তিনি বলেন, ‘ইউরোপিয়ান দেশ হিসেবে এখানেই ব্রিটেনের সমাপ্তি ঘটছে না। ইউরোপিয়ান সভ্যতা লালনে আমাদের নানা উপায় রয়েছে…এবং আমরা এটা করে যাব।’