করোনাভাইরাস সংক্রান্ত প্রণোদনা বিলে সই করতে প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পকে আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের হবু প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এ নিয়ে দেরি করা হলে নাগরিকদের দুর্ভোগ ‘ভয়াবহ’ হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন তিনি।
করোনায় অনেক মানুষ চাকরি হারিয়েছে। কিন্তু তাদের জন্য এতদিন সরকার থেকে যেসব সুবিধা দেয়া হচ্ছিল চলতি মাসেই তা শেষ হচ্ছে। তাই বাজেটের সঙ্গে করোনা তহবিলেরও ব্যবস্থা করে কংগ্রেস।
ধারণা করা হচ্ছে, মহামারি সহায়তা এবং সরকারি ব্যয় সংক্রান্ত এই বিলে ট্রাম্প সই না করলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় এক লাখ ৪০ হাজার লোকের বেকার ভাতা বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
কয়েক মাস আলোচনা এবং দর কষাকষির পর সম্প্রতি ৯০ হাজার কোটি ডলারের করোনা মহামারি সহায়তা বিল পাশ করে কংগ্রেসের উভয় কক্ষ।
কিন্তু এই বিলে সই নিতে নারাজ ট্রাম্প। বিলটি সংশোধনের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এই বিলের আকার আরও বড় হওয়া দরকার।
বর্তমান বিল অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের যেসব নাগরিকের বাৎসরিক আয় ৭৫ হাজারের কম, তাদেরকে সরকারের পক্ষ থেকে ৬০০ ডলার আর্থিক সহায়তা দেয়া হবে। কিন্তু ট্রাম্পের চাওয়া দুই হাজার ডলার করে দেয়া হোক।
কিন্তু বিলে পরিবর্তন আনতে চায় না কংগ্রেস। ট্রাম্পের প্রস্তাবে একমত নয় রিপাবলিকান আইন প্রণেতারাও।
প্রণোদনা বিলটি যুক্তরাষ্ট্রের ১.৪ ট্রিলিয়ন ডলারের (এক ট্রিলিয়ন সমান ১ লক্ষ কোটি) ফেডারেল বাজেটের সঙ্গে সংযুক্ত করা। নির্দিষ্ট সময়ের আগে ট্রাম্প তাতে সই না করলে কিছু কিছু পরিষেবা বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরিস্থিতিও তৈরি হতে পারে।
ট্রাম্পের এমন অবস্থানের কড়া সমালোচনা করেছেন বাইডেন। ক্ষমতা হস্তান্তরের দায়িত্বে থাকা কর্তৃপক্ষের ওয়েবসাইটে দেয়া এক বিবৃতিতে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ‘দায়িত্বে অবহেলার’ অভিযোগ তুলেছেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট হতে যাওয়া বাইডেন বলেন, ‘আজ (শনিবার) বড়দিনের পরের দিন। কিন্তু লাখ লাখ পরিবার জানে না, তারা খেয়েপড়ে চলার অর্থ পাবে কি না। কারণ কংগ্রেসে সর্বসম্মতভাবে পাস হওয়ার পরও অর্থনৈতিক প্রণোদনা বিলে সই করেননি ট্রাম্প।’
এই বিলে সমর্থন দেয়া উভয় দলের আইন প্রণেতাদের প্রশংসা করে বাইডেন বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের উচিত তাদের সঙ্গে যোগ দেয়া এবং লাখ লাখ আমেরিকানদের টেবিলে খাবার নিশ্চিত করা। এই ছুটির সময়টাতে তাদের মাথার ওপর ভরসার ছাতা ধরে রাখা।’
বিলটি আটকে দেয়ার কারণ জানিয়ে টুইট করেছে ট্রাম্প। তাতে বলেছেন, ‘আমি কেবল চাই, বর্তমান বিলে থাকা ৬০০ ডলারের পরিবর্তে আমাদের অসাধারণ নাগরিকদের ২০০০ হাজার ডলার করে দেয়া হোক।’