সাজাপ্রাপ্ত একের পর এক সাজাপ্রাপ্ত গুরুতর অপরাধীদের বিশেষ ক্ষমতাবলে ক্ষমা করে দিচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প।
এবার ক্ষমা করে দিলেন নিজের নির্বাচনী প্রচারণা বিষয়ক সাবেক ম্যানেজার পল ম্যানাফোর্ট, সাবেক উপদেষ্টা রজার স্টোন ও ট্রাম্পের মেয়ে ইভানকার শ্বশুরকে।
২০১৬ সালের নির্বাচনে রাশিয়ার সঙ্গে আঁতাত করার অভিযোগে এ বিষয়ে ২০১৮ সালের এক তদন্তে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন ম্যানাফোর্ট। তাতে সাড়ে সাত বছরের জেল হয়েছিল তার।
আর কংগ্রেসে মিথ্যা বলার অভিযোগে দোষী প্রমাণিত হওয়া দীর্ঘ দিনের মিত্র রজার স্টোনকে এর আগে জেলে থাকার সাজার মেয়াদ কমিয়ে দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট। এবার তাকে পুরোপুরি মুক্ত করে দেয়া হলো।
বিবিসি লিখেছে, আগামী মাসে হোয়াইট হাউজ ছাড়ার আগে ট্রাম্প এখন পর্যন্ত যে ২৯ জনকে ক্ষমা করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাদের মধ্যে রয়েছেন ম্যানাফোর্ট, স্টোন ও জামাতা জেরার্ড কুশনারের বাবা।
২৯ জনের মধ্যে পুরোপুরি ক্ষমা করে দেয়া হয়েছে ২৬ জনকে। সাজার মেয়াদ কমানো হয়েছে তিন জনের।
সাজা কমানো বলতে সাধারণত জেলে থাকার মেয়াদ কমানো হয়। এক্ষেত্রে অপরাধীর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ তুলে নেয়া যায় না বা সম্পূর্ণ নির্দোষ বলা হয় না।
ম্যানাফোর্টের সাড়ে সাত বছর জেল হয়েছিল। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল আর্থিক কেলেঙ্কারি এবং ২০১৬ সালের নির্বাচনে রাশিয়ার সঙ্গে আঁতাত নিয়ে ওঠা অভিযোগ তদন্তে বাধা সৃষ্টি করা।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকায় গত মে মাসে ফেডারেল প্রিজন থেকে ছাড়া পাওয়ার পর ঘরবন্দি ছিলেন ম্যানাফোর্ট। ট্রাম্পের ক্ষমার পর তিনি এখন পুরোপুরি মুক্ত। ক্ষমা পেয়ে ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানিয়ে টুইট করেছেন ম্যানাফোর্ট।
পুরোপুরি ক্ষমা পেয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী চার্লস কুশনার। তিনি ট্রাম্পের মেয়ে ইভান ট্রাম্পের জামাই হোয়াইট হাউজের উপদেষ্টা জেরার্ড কুশনারের বাবা।
কর ফাঁকি, নিয়ম লঙ্ঘন করে নির্বাচনী প্রচারণায় অর্থ ঢালা এবং সাক্ষীদের প্রভাবিত করার অপরাধে দুই বছর জেল হয়েছিল তার।
ক্ষমতাবলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টরা সাধারণত তার মেয়াদের শেষের দিনগুলোতে কিছু কিছু অপরাধীদের শাস্তি ক্ষমা করে থাকেন।
জর্জ এইচ ডব্লিউ বুশের পর আধুনিক যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এই ক্ষমতাটা সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করছেন ট্রাম্প। সামনের দিনগুলোতে তিনি আর কত জনকে ক্ষমা করেন সেটা এখন দেখার বিষয়।