জম্মু-কাশ্মীরে অনুষ্ঠিত প্রথম স্থানীয় নির্বাচনে জয়ী হয়েছে অঞ্চলটির দুই সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লাহ ও মেহবুবা মুফতির নেতৃত্বাধীন গুপকর জোট।
বুধবার নির্বাচনের ফল ঘোষণা করা হয় বলে এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
জম্মু-কাশ্মীরের ২০টি জেলায় অনুষ্ঠিত প্রথম ডিস্ট্রিক্ট ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিল (ডিডিসি) নির্বাচনে সাত দল নিয়ে গঠিত গুপকর জোট এবং কংগ্রেস ১৩টি জেলায় জয়ী হয়। অন্যদিকে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) জম্মুর ছয়টি জেলায় জিতেছে।
ফারুক আবদুল্লাহর নেতৃত্বাধীন জম্মু-কাশ্মীর ন্যাশনাল কনফারেন্স, মেহবুবা মুফতির নেতৃত্বাধীন পিপলস ডেমোক্র্যাটিক পার্টিসহ (পিডিপি) কাশ্মীরের মূলধারার দল নিয়ে গঠন করা হয় পিপলস অ্যালায়েন্স ফর গুপকর ডিক্লেয়ারেশন জোট।
জম্মু-কাশ্মীরের ২০টি জেলার ২৮০টি আসনের মধ্যে আবদুল্লাহ-মুফতি জোট ১১০টি আসনে জয়ী হয়। কংগ্রেস জিতে ২৬টি আসনে। একক বৃহত্তম দল হিসেবে বিজেপি জয় পায় ৭৪টি আসনে।
গত বছর জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা তুলে নিয়ে একে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করা হয়।
কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলটির ২০টি জেলার প্রতিটিতে ১৪টি করে আসন রয়েছে। দুটি ছাড়া বাকি সব আসনের ফল ঘোষণা করা হয়েছে।
কাশ্মীরে আবদুল্লাহ-মুফতি নেতৃত্বাধীন জোট ৭২ আসনে জয় পেয়েছে। বিজেপি সেখানে মাত্র তিনটি আসনে জিতেছে।
নয়টি ডিস্ট্রিক্ট কাউন্সিলে সরকার গঠন করতে যাচ্ছে আবদুল্লাহ-মুফতি নেতৃত্বাধীন জোট। শ্রীনগর জেলায় স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয়লাভ করায় তারা কীভাবে সরকার গঠন করবেন, তা স্পষ্ট নয়।
জম্মু-কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও ফারুক আবদুল্লাহর ছেলে ওমর আবদুল্লাহ এবং মেহবুবা মুফতি বলেন, নির্বাচনের ফলে এটি স্পষ্ট, গত বছরের আগস্টে অনুচ্ছেদ ৩৭০ এর অধীনে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নেয়ার কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করেছে এ অঞ্চলের জনগণ।
আট ধাপে ২৮ নভেম্বর থেকে ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।