ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা তুলে নেয়ার পর প্রথম নির্বাচনেই বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে রায় দিল অঞ্চলটির জনগণ।
মঙ্গলবার জেলা উন্নয়ন পরিষদ নির্বাচনের ভোট গণনায় ফারুক আবদুল্লা-মেহবুবা মুফতিদের সাত দলের গুপকার জোট এগিয়ে আছে ১১৫ আসনে।
বিজেপি এগিয়ে আছে ৭০টি আসনে। কংগ্রেস ২৩ এবং নির্দল ৫৩ আসনে জয়লাভের সম্ভাবনা রয়েছে। জম্মু-কাশ্মীর আপনি পার্টি (জেকেএপি) পেয়েছে ১৩ আসন।
নির্দলদের বড় অংশটাই গুপকার জোট সমর্থিত। অর্থাৎ, অনুচ্ছেদ ৩৭০ তুলে নেয়ার পর গেরুয়া শিবির খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি উপত্যকায়।
বিজেপি প্রার্থীরা মূলত জিতছেন জম্মুতে। এখানে তারা ৪৪ আসনে এগিয়ে।
উপত্যকায় ১৪ আসনের মধ্যে নির্দল এগিয়ে সাতটি আসনে। তিনটিতে জেকেএপি, গুপকর তিনটিতে ও একটিতে বিজেপি এগিয়ে।
বিরোধীদের বিভিন্ন মামলায় আটক করে, ঘরবন্দি করে রেখে, প্রচারে পুলিশি বাধা দিয়েও নিজেদের পালে হাওয়া টানতে ব্যর্থ বিজেপি।
মিনি বিধানসভা নির্বাচনের ফল যে ইঙ্গিত দিচ্ছে, তাতে চিন্তার ভাঁজ আরও গভীর হচ্ছে বিজেপির।
বিজেপির আধিপত্য রয়েছে জম্মু অঞ্চলে। সেখানে ১০৮টি আসনের মধ্যে ৬৫টিতে এগিয়ে রয়েছে দলটি। ন্যাশনাল কনফারেন্স ২০টি এবং কংগ্রেস ১৩টি ও নির্দলরা ১৪টিতে এগিয়ে রয়েছে। হিন্দু অধ্যুষিত জম্মুতে কিছুটা মান রক্ষা করতে পেরেছে বিজেপি।
হিজবুল মুজাহিদিন জঙ্গিগোষ্ঠী এবং পুলিশকর্তা দাভিন্দপর সিংয়ের সঙ্গে যোগসাজশের অভিযোগে এনআইএ-র হাতে আটক পিডিপি যুবনেতা ওয়াহিদ পারা পুলওয়ামা আসনে বিপুল ব্যবধানে জয় পেয়েছেন।
রাজ্যের ২০টি জেলার ২৮০ আসনের জন্য ২৫ দিনে আট দফায় ভোটগ্রহণ হয়েছে।
২০১৯ সালের আগস্টে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার করে নেয় কেন্দ্র সরকার। উপত্যকাকে দ্বিখণ্ডিত করে জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ, দুটি পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গঠিত হয়।
প্রতিবাদে আবদুল্লাদের ন্যাশনাল কনফারেন্স (এনসি), মেহবুবা মুফতির নেতৃত্বাধীন পিপলস ডেমোক্র্যাটিক পার্টির (পিডিপি) মতো আঞ্চলিক দলগুলোকে নিয়ে গঠিত গুপকার জোট।
গুপকার ষোষণাপত্রের মূল কথা জম্মু-কাশ্মীরে আবারও স্বায়ত্বশাসন ফিরিয়ে আনা।