দলবদলে ফের চমক পশ্চিমবঙ্গে। বিজেপি যুবমোর্চার রাজ্য সভাপতি সৌমিত্র খাঁর স্ত্রী আজ যোগ দিলেন তৃণমূলে।
আর এ খবর পেয়েই সৌমিত্র খাঁ ভেঙে পড়েন কান্নায়। পাঠালেন ডিভোর্সের নোটিশও।
এপ্রিল-মে মাসে পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভার ভোট। তা ঘিরে জমে উঠছে রাজনৈতিক দলবদল। তৃণমূলের প্রথম সারির এক ঝাঁক নেতা বিজেপিতে যোগ দেওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই পাল্টা আঘাত টিম মমতা ব্যানার্জির।
সোমবার বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁর স্ত্রী সুজাতা মন্ডল খাঁ যোগ দেন তৃণমূলে। বিজেপি সক্রিয় কর্মী সুজাতার তৃণমূলে যোগদান বড় চমক রাজ্য রাজনীতিতে। তাকে তৃণমূলে স্বাগত জানান বর্ষীয়াণ সাংসদ সৌগত রায়।
এর পরপরই সংবাদ সম্মেলনে ডাকেন সৌমিত্র খাঁ। তিনি বলেন, ‘রাজনীতির কারণে ইতি ঘটতে যাচ্ছে ১০ বছরের সম্পর্কের। এখন থেকে বিজেপির জন্য আরও নিবেদিত হতে পারব।’
অন্যদিকে সুজাতা বলেছেন, ‘বিজেপিতে সম্মান পাচ্ছিলাম না। মমতাদিদির নেতৃত্বে রাজ্যের উন্নয়নে সম্মানের সঙ্গে কাজ করতে চাই।’
সাবেক তৃণমূল নেতা সৌমিত্র খাঁ ২০১৪ সালে বিজেপির হয়ে বিষ্ণুপুর আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এ জয়ে মূল ভূমিকা ছিল স্ত্রী সুজাতার।
মামলা থাকায় ওই নির্বাচনের প্রচারে অংশ নিতে পারেননি বিজেপির তৎকালীন যুব মোর্চা নেতা সৌমিত্র। জয় নিশ্চিতে গোটা নির্বাচনি এলাকা চষে বেড়িয়েছিলেন সুজাতা।
সে সময় সুজাতা খাঁও ছিলেন বিজেপি কর্মী।
বিচ্ছেদের ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় সুজাতা সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি নিশ্বাস নিতে চাই, সম্মান চাই। একজন নেতা হতে চাই। যেকোনো দলের নেতা হওয়ার সক্ষমতা আছে আমার।
‘তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি দিদির (মমতা) সঙ্গে কাজ করব। বিজেপি ভরে গেছে দুর্নীতিবাজে।’
ক্ষুব্ধ সুজাতার প্রশ্ন, ‘মার খেয়ে, মৃত্যুর হুমকি পাশ কাটিয়ে স্বামীকে জয় এনে দিয়েছি। বিনিময়ে দল থেকে কী পেয়েছি?’
এনডিটিভিকে তিনি বলেন, বিবাহ বিচ্ছেদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন স্বামী। এ বিষয়ে তার বক্তব্য নেই।
সুজাতার আশা, ভুল বুঝতে পেরে একদিন তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরবেন সৌমিত্র।
গত শনিবার ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর উপস্থিতিতে বিজেপিতে যোগ দেন পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতাসীন তৃণমূলের ৩৫ নেতা। তাদের মধ্যে কয়েক জন বিধায়ক ও এক এমপি রয়েছেন।