বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আইএস নারী-শিশুদের ফেরাচ্ছে জার্মানি-ফিনল্যান্ড

  •    
  • ২১ ডিসেম্বর, ২০২০ ০৯:২৯

বিষয়টি নিয়ে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেইকো মাস। রোববার তিনি বলেন, ‘খুবই স্বস্তি লাগছে যে, আমরা আরও ১২ জন শিশু ও তিন জন মাকে উত্তর সিরিয়ার ক্যাম্পগুলো থেকে ফিরিয়ে আনতে পেরেছি।’

যুদ্ধ বিধ্বস্ত সিরিয়ার বিভিন্ন ক্যাম্প থেকে নারী শিশুদের ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নিয়েছে জার্মানি ও ফিনল্যান্ড। ধারণা করা হচ্ছে তারা ইসলামিক স্টেট (আইএস) পরিবারের সদস্য।

মানবিক কারণে তাদের ফিরিয়ে আনা হচ্ছে বলে জানিয়েছে দেশ দুটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। চলতি সপ্তাহে এরই মধ্যে পাঁচ জন নারী ও ১৮ শিশুকে ফিরিয়ে এনেছে তারা।

জার্মান সংবাদমাধ্যমে খবর, ফিরিয়ে আনা নিজেদের তিন নারীর মধ্যে একজনকে সন্ত্রাসী সংগঠনে জড়িত থাকাসহ বেশ কয়েকটি অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে জার্মান কর্তৃপক্ষ। তবে তিন জনের বিরুদ্ধেই সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ আনা হতে পারে।

সুন্নি জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসে যোগ দেয়া ইউরোপের কয়েকশ নাগরিক বর্তমানে উত্তর সিরিয়ার কুর্দি নিয়ন্ত্রত ক্যাম্পগুলোতে অবস্থান করছে। ২০১৯ সালের মার্চে সিরিয়া ও ইরাকে আইএসের পরাজয়ের পর হাজার হাজার মানুষের সঙ্গে তারাও সেখানে অবস্থান নেয়।

ধারণা, তাদের অনেকেই আইএস যোদ্ধাদের স্ত্রী ও সন্তান অথবা তারা জঙ্গিগোষ্ঠীটির প্রতি সহানুভূতিশীল।

দেশের জন্য নিরাপত্তা ঝুঁকি সৃষ্টি করতে পারে এমন শঙ্কায় ইউরোপের বেশির ভাগ দেশ এসব ক্যাম্পে থাকা নিজেদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিতে অনিচ্ছা প্রকাশ করে আসছে।

মাত্র ১৫ বছর বয়সে আইএসে যোগ দেয়া আলোচিত বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক শামিমা বেগম

এর মধ্যে যুক্তরাজ্য অন্যতম। ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে মাত্র ১৫ বছর বয়সে আইএসে যোগ দেয়া আলোচিত বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক শামিমা বেগমের নাগরিকত্বই কেড়ে নিয়েছে তারা। দেশে ফিরতে দেয়া হচ্ছে না তাকে। যুক্তরাজ্যের নাগরিকত্ব ফিরে পেতে আইনি লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন শামিমা।

মানবাধিকার সংস্থাগুলো সিরিয়ার বন্দি শিবিরে থাকা নাগরিকদের ফিরিয়ে আনতে ইউরোপের সরকারগুলোকে আহ্বান জানিয়ে আসছে। এসব ক্যাম্পে থাকা এসব নারী ও শিশু অসুস্থ হওয়ার এবং উগ্রপন্থিতে জড়ানোর উচ্চ ঝুঁকিতে আছে বলে দাবি এসব সংস্থার।

এ ক্ষেত্রে ইউরোপের অন্য দেশগুলো থেকে ভিন্ন পথে হাঁটল জার্মানি ও ফিনল্যান্ড। নিজেদের নাগরিকদের ফিরিয়ে আনছে তারা।

বিষয়টি নিয়ে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেইকো মাস। রোববার তিনি বলেন, ‘খুবই স্বস্তি লাগছে যে, আমরা আরও ১২ জন শিশু ও তিন জন মাকে উত্তর সিরিয়ার ক্যাম্পগুলো থেকে ফিরিয়ে আনতে পেরেছি।’

মাস জানান, মানবিক কারণে তাদের ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে অসুস্থ ও এতিম শিশুদের ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। তাদের ফিরিয়ে আনার বিষয়টি বিশেষভাবে জরুরি মনে করা হয়েছে। মা ছাড়া এসব শিশুদের নিয়ে আনা আইনিভাবে সম্ভব ছিল না।

এ বিভাগের আরো খবর