করোনায় গরিবদের অবস্থা আরও খারাপ হলেও ধনীদের সম্পদ বেড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্বের শীর্ষ ধনী জেফ বেজোসের সাবেক স্ত্রী ম্যাকেঞ্জি স্কট।
মঙ্গলবার এক ব্লগ পোস্টে ম্যাকেঞ্জি এ কথা বলেন। এ সময় গত চার মাসে জরুরি খাদ্য ও ত্রাণ সহায়তায় প্রায় চারশো কোটি ডলার দান করার কথাও জানিয়েছেন তিনি।
৩৮০টি চ্যারিটি ও ছয় হাজার ৫০০টি সংস্থায় এ অর্থ দান করেছেন বলে জানান ম্যাকেঞ্জি।
বুধবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, মহামারির কারণে বিপর্যয়ের শিকার আমেরিকানদের সাহায্য করতে চেয়েছেন তিনি।
বর্তমানে বিশ্বের ১৮তম ধনী ম্যাকেঞ্জি। এ বছর তার সম্পদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ছয় হাজার কোটি ডলারে।
২০১৯ সালে জেফ বেজোসের সঙ্গে বিচ্ছদের সূত্রে তার কাছ থেকে প্রায় তিন হাজার ৭০০ কোটি ডলার পান ম্যাকেঞ্জি। এর অর্ধেক দান করে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন তিনি।
ব্লগ পোস্টে ম্যাকেঞ্জি লিখেছেন, ‘করোনা মহামারিতে অর্থনৈতিক ক্ষতি ও স্বাস্থ্য বিপর্যয় নারী, অশ্বেতাঙ্গ ও দরিদ্রদের জন্য আরও খারাপ পরিস্থিতি তৈরি করেছে। তবে এটি ধনীদের সম্পদও বাড়িয়েছে।’
করোনা মহামারির কারণে অনলাইনে বিক্রি বেড়েছে। এর ফলে লাভবান হচ্ছে আমাজনের মত পণ্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলো।
জেফ বেজোস পণ্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান আমাজনের প্রতিষ্ঠাতা। ব্লুমবার্গ বিলিয়নার ইনডেক্স অনুযায়ী, এ বছর জেফ বেজোসের সম্পদের পরিমাণ প্রায় সাত হাজার কোটি ডলার বেড়ে ১৮ হাজার ৫০ কোটি ডলারে পৌঁছেছে।