যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে পরাজিত প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের শেষ সময়ে একটি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। আরও চারটি কার্যকরের অপেক্ষায় রয়েছে।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে দেশটির ইন্ডিয়ানা অঙ্গরাজ্যের টেরে হোট শহরে প্রাণঘাতি ইনজেকশনের মাধ্যমে খুনের দায়ে অভিযুক্ত ব্র্যান্ডন বার্নার্ড নামে এক কৃষ্ণাঙ্গের মৃত্যুদণ্ডাদেশ কার্যকর হয়।
জুলাই থেকে কেন্দ্রীয় সরকার সব মিলে ১৩ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে যাচ্ছে। এক শতাব্দীরও বেশি সময়ে এত মৃত্যুদণ্ড দেশটি দেখেনি।
আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা এপির প্রতিবেদনে বলা হয়, মৃত্যুর আগে তিন মিনিটেরও বেশি সময় ধরে নিহতের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন ৪০ বছর বয়সী বার্নার্ড।
তিনি বলেন, ‘আমি দুঃখিত, এটুকুই বলতে পারি। এখন কেমন লাগছে বা সেদিন কেমন লেগেছিল, সে অনুভূতি প্রকাশে এর চেয়ে বেশি শব্দ জানা নেই আমার।’
বার্নার্ডের মৃত্যুদণ্ডাদেশ দুই ঘণ্টারও বেশি সময় দেরিতে কার্যকর করা হয়। কারণ, তার আইনজীবীরা আদেশ বাতিলে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন। আদালত শেষ মুহূর্তেও মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রাখে ।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৯৯ সালে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অপরাধে কিশোর বার্নার্ডকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়।
প্রায় ৭০ বছরের মধ্যে বার্নার্ড সবচেয়ে কমবয়সী অপরাধী যার মৃত্যুদণ্ডাদেশ কার্যকর করে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সরকার। বার্নার্ডসহ পাঁচ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হলে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুদণ্ড দেয়া প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পকে বিবেচনা করা হবে।
১৯৯৯ সালের জুনে টেক্সাস অঙ্গরাজ্যে দম্পতি টড ও স্টেসি ব্যাগলি হত্যায় জড়িত থাকার দায়ে মৃতুদণ্ড দেয়া হয় বার্নার্ডকে।
ছিনতাইয়ের পর ওই দম্পতিকে গাড়িতে ঢুকতে বাধ্য করে বার্নার্ডসহ পাঁচ কিশোর। ওই সময় ১৯ বছর বয়সী ক্রিস্টোফার ভিয়ালভা গুলি করে হত্যা করে টড ও স্টেসি ব্যাগলিকে। এরপর গাড়িটিতে আগুন ধরিয়ে দেয় বার্নার্ড।