ভারতের শিলিগুড়িতে সোমবার পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) এক কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনাকে ঘিরে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গে।
ক্ষমতাসীন বিজেপির অভিযোগ, তাদের রাজনৈতিক কর্মসূচিতে পুলিশ ইচ্ছাকৃতভাবেই লাঠিপেটা করে তাদের কর্মীকে হত্যা করেছে। তবে তৃণমূলের পাল্টা অভিযোগ, অশান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করছে বিজেপি।
সোমবার শিলিগুড়িতে বিজেপির যুবমোর্চার রাজনৈতিক কর্মসূচিকে ঘিরে উত্তেজনা দেখা দেয়। উত্তরবঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অস্থায়ী সদর দপ্তর ‘উত্তরকন্যা’ অভিযান ছিল তাদের।
এই অভিযানে দলের প্রথম সারির নেতারাও উপস্থিত ছিলেন। বিক্ষোভ কর্মসূচিকে ঘিরে সকাল থেকেই উত্তেজনা বিরাজ করছিল। বিজেপিকে রুখতে জলকামান ব্যবহার করেছে পুলিশ। ছুড়েছে কাঁদানে গ্যাসের শেল। এ সময় বিজেপি কর্মী উলেন রায় গুরুতর জখম হন। পরে হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের অভিযোগ, পুলিশের লাঠিপেটাতেই উলেনের মৃত্যু হয়েছে। এর প্রতিবাদে তিনি মঙ্গলবার ১২ ঘণ্টার উত্তরবঙ্গ বনধের ডাক দেন।
বিজেপির যুবমোর্চার কর্মসূচিতে জলকামান ও কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপের কথা স্বীকার করেছে পুলিশ। তবে লাঠিপেটার অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সৌগত রায় বলেন, রাজ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছে বিজেপি। পুলিশকে কড়া ব্যবস্থা নিতে বাধ্য করছে।
এদিকে, মঙ্গলবার দিল্লিতে আন্দোলনরত কৃষকদের ডাকে ভারত বনধ। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জি এই বনধকে সমর্থন জানিয়েছেন। কংগ্রেস ও বামরা সমর্থন করছে ভারত বনধকে। তাই মঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গের জনজীবন বিপর্যস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।