প্রাণী অধিকারকর্মীদের জন্য খবরটা খারাপ। তবে একে সুখবর ভাবতে পারেন কুকুরের মাংসপ্রেমীরা। আপাতত কুকুরের মাংস বিক্রিতে কোনো সমস্যা নেই ভারতের নাগাল্যান্ড রাজ্যে।
নাগাল্যান্ডসহ একাধিক রাজ্যে কুকুরের মাংস জনপ্রিয়। সেখানকার বাসিন্দারা প্রাণীটির মাংসের বিভিন্ন পদ খেয়ে থাকেন।
রাজ্যটিতে কুকুরের মাংস খেয়ে জলাতঙ্ক হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। পশ্চিমবঙ্গ থেকে প্রচুর কুকুর নাগাল্যান্ডে পাচার হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
এমন বাস্তবতায় ভারতের পশুপ্রেমীরা কুকুরের ওপর নৃশংস অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তারা কুকুরের মাংস বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারিরও দাবি করেছেন।
এর পরিপ্রেক্ষিতে ৪ জুলাই থেকে নাগাল্যান্ডে নিষিদ্ধ ঘোষিত হয় কুকুরের মাংস বিক্রি। এমনকি হত্যার উদ্দেশ্যে কুকুর যাতায়াতের ওপরও জারি হয় নিষেধাজ্ঞা। কয়েকজনকে আটকও করে পুলিশ।
কিন্তু সরকারি সিদ্ধান্তের পাল্টা প্রতিবাদ শুরু হয়। নাগাল্যান্ডের প্রভাবশালী সামাজিক সংগঠন নাগাহোহোসহ একাধিক সংগঠনের দাবি, তাদের আদিবাসী সংস্কৃতির ওপরই আঘাত করা হচ্ছে। কুকুরের মাংস খাওয়া তাদের কৃষ্টি।
সরকার সেই দাবি না মানায় তারা গৌহাটি হাইকোর্টের নাগাল্যান্ড বেঞ্চে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আপিল করে। ২ সেপ্টেম্বর সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে আদালত রাজ্য সরকারকে হলফনামা জমা দিতে বলে।
মামলাকারীদের অভিযোগ, কোহিমা পুর নিগমের লাইসেন্স নিয়েই তারা কুকুরের মাংস বিক্রি করছেন। কিন্তু সেই লাইসেন্স বাতিল না করেই জারি করা হয়েছে নিষেধাজ্ঞা।
রাজ্য সরকার হলফনামা জমা দিতে না পারায় গৌহাটি হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্য সরকারের নিষেধাজ্ঞার ওপর স্থগিতাদেশ জারি করে। ফলে আপাতত নাগাল্যান্ডে কুকুর বিক্রি, আমদানি বা মাংস কাটার ওপর কোনো নিষেধাজ্ঞা থাকছে না।