পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যে জো বাইডেনকে বিজয়ী ঘোষণা রুখতে ট্রাম্পের মামলা দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখান করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি ফেডারেল আপিল কোর্ট।
তিন বিচারকের একটি প্যানেল জানিয়েছে, মামলাটির কোনো যোগ্যতা নেই। তাদের মতে, ট্রাম্প শিবির সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ আনতে বা প্রমাণ হাজির করতে পারেনি।
মামলাটি খারিজ হয়ে যাওয়ায় তিন নভেম্বরের নির্বাচনের ফল ঘুরিয়ে দেয়ার প্রচেষ্টায় আরও একটি ধাক্কা খেলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
অবশ্য বৃহস্পতিবার পরাজয় মেনে নেয়ার ইঙ্গিত দেন রিপাবলিকান দলের এই প্রার্থী। সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প জানান, বাইডেন ইলেকটোরাল সংখ্যা বেশি পেলে ‘নিশ্চিতভাবে’ হার মেনে নেবেন তিনি।
কিন্তু শুক্রবারই আগের মন্তব্য থেকে সরে আসলেন ট্রাম্প। কোনো প্রমাণাদি তুলে না ধরে ফের নির্বাচনে নিয়ে জালিয়াতির অভিযোগ তুলেছেন। টুইটারে লিখেছেন, নির্বাচনে ব্যাপক ভোট জালিয়াতির হদিস পাওয়া গেছে।
“বাইডেন তখনই হোয়াইট হাউজে প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রবেশ করতে পারবেন, যখন তিনি তার উপহাস্য ‘৮০,০০০,০০০ ভোট’ জালিয়াতি বা অবৈধভাবে প্রাপ্ত ছিল না সে প্রমাণ দিতে পারবেন।”
এর আগে ‘ব্যাটলগ্রাউন্ড’ অঙ্গরাজ্য পেনসিলভানিয়ায় ডাকযোগে আসা লাখ লাখ ভোট বাতিলের দাবিতে ট্রাম্পের প্রচার শিবিরের করা মামলাটি খারিজ করে দিয়েছিল একটি ফেডারেল আদালত। নিম্ন আদালতের এই সিদ্ধান্ত বহাল রাখল আপিল কোর্টও।
নিম্ন আদালতের রায়ের ফলে পেনসিলভানিয়ার গুরুত্বপূর্ণ ২০টি ইলেকটোরাল কলেজ ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী বাইডেনের ঝুলিতে পড়ার বাধা কাটে।
আপিল আদালতে ট্রাম্প প্রশাসনের মাধ্যমেই নিয়োগ পাওয়া বিচারক স্টেফানোস বিবাস লিখেছেন, ‘অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন আমাদের গণতন্ত্রের প্রাণশক্তি। পক্ষপাতদুষ্টতার অভিযোগ তোলা গুরুতর বিষয়। তবে এ বিষয়ে অভিযোগ তুললেই হয়ে যায় না।’
‘এক্ষেত্রে অভিযোগ সুনির্দিষ্ট হতে হয় এবং প্রমাণ হাজির করতে হয়। আমরা এর কোনোটাই পায়নি।’
ভোটের ফলাফলে ৫৩৮টি ইলেকটোরাল কলেজের মধ্যে ৩০৬টি জিতে নিয়েছেন বাইডেন, যেখানে হোয়াইট হাউজে যেতে দরকার ২৭০টি ইলেকটোরাল।