আত্মসমর্পণ করতে ইথিওপিয়া সরকার সময় বেঁধে দিলেও তা প্রত্যাখ্যান করে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে দেশটির টাইগ্রে অঞ্চলের বিদ্রোহীরা। সবশেষ তারা সেনাবাহিনীর ২১তম মেকানাইজড ডিভিশন ‘সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস’ করার দাবি করেছে।
মঙ্গলবার টেলিভিশনে দেয়া ভাষণে এ দাবি করেন টাইগ্রে বিদ্রোহীদের মুখপাত্র গেটাচিউ রেডা।
পাঁচ লাখ জনসংখ্যার শহর টাইগ্রের রাজধানী মেকেলে রক্ষায় প্রত্যেক নাগরিকদের হাতে অস্ত্র তুলে দেয়ার অঙ্গীকার করেন রেডা।
এ বিষয়ে ইথিওপিয়া সরকারের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
ফোন ও ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ থাকা এবং অঞ্চলটি কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত হওয়ায় বিদ্রোহীদের দাবি যাচাই করা সম্ভব হয়নি বলে আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
ইথিওপিয়া সরকার ও টাইগ্রে অঞ্চলের বিদ্রোহীদের মধ্যে সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত শত শত মানুষের মৃত্যু হয়েছে। প্রতিবেশী দেশ সুদানে পালিয়ে গেছে প্রায় ৪০ হাজার ইথিওপীয়।
রোববার রাতে শান্তিতে নোবেলজয়ী ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ বিদ্রোহীদের আত্মসমর্পণ করতে ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন। টাইগ্রের বিদ্রোহীরা আল্টিমেটাম প্রত্যাখ্যান করে মাতৃভূমি রক্ষায় ‘জীবন দিতে প্রস্তুত’ বলে জানিয়েছেন।
সোমবার টাইগ্রে পিপলস লিবারেশন ফ্রন্টের (টিপিএলএফ) নেতা ডেব্রেটসিয়ন গেব্রেমাইকেল বলেন, ‘আমরা কে, তা তিনি (আবি) বুঝতে পারছেন না। আমাদের অঞ্চল শাসন আমাদের অধিকার। এটি রক্ষায় আমরা জীবন দিতে প্রস্তুত আছি।’
ইথিওপিয়ার উত্তরাঞ্চলে কেন্দ্রীয় দুটি সামরিক ক্যাম্পে হামলা ও তার সরকারকে অস্থিতিশীল করার অভিযোগে ৪ নভেম্বর টিপিএলএফের ওপর সামরিক অভিযান চালান আবি।