সৌদি আরবে কর্মরত বিদেশিরা আট শর্তে কফিল বা নিয়োগকর্তার অনুমতি ছাড়াই কর্মস্থল পরিবর্তন করতে পারবেন।
দেশটির মানবসম্পদ ও সামাজিক উন্নয়ন মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
সম্প্রতি সৌদি আরবে সংস্কার হওয়া শ্রমিক আইনের পরিপ্রেক্ষিতে এ ঘোষণা দিয়েছে মন্ত্রণালয়।
যে আটটি পরিস্থিতিতে বা শর্তে প্রবাসী কর্মচারীরা স্পন্সরের অনুমতি ছাড়াই নিজের চাকরি পরিবর্তন করতে পারবেন সেগুলো হলো
১. সৌদি আরবে প্রবেশের পর তিন মাস কাজ করার পরও বর্তমান মালিকের সঙ্গে লিখিত কর্মচুক্তি না থাকলে।
২. টানা তিন মাস নিয়োগকর্তা কর্মীকে বেতন দিতে সক্ষম না হলে।
৩. নিয়োগকর্তা ভ্রমণ, জেল বা মৃত্যুজনিত কোনো কারণে প্রতিষ্ঠানে অনুপস্থিত থাকলে।
৪. কর্মীর কাজের পারমিট বা রেসিডেন্সি পারমিটের (ইকামা) মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে গেলে।
৫. কর্মী নিয়োগকর্তার করা যেকোনো কারচুপির ব্যাপারে অভিযোগ জারি করলে।
৬. কর্মীর কাছে নিয়োগকর্তা মানব পাচারের সঙ্গে জড়িত প্রমাণ থাকলে।
৭. কর্মী ও নিয়োগকর্তার মধ্যে যদি শ্রম আইনে কোনো মামলা চলমান থাকে এবং নিয়োগকর্তা বা নিয়োগকর্তার প্রতিনিধি আদালতের দুটি শুনানিতে অনুপস্থিত থাকে।
৮. কর্মী ট্রান্সফারে বর্তমান নিয়োগকর্তার সম্মতি থাকলে।
সৌদি আরবে সম্প্রতি সংস্কার হওয়া শ্রম আইন অনুযায়ী, কয়েকটি পরিস্থিতিতে একজন প্রবাসী কর্মী চাকরি পরিবর্তনের সুবিধা পাবেন।
প্রবাসী কর্মী বিশেষজ্ঞ হলে, সৌদি আরবে প্রথম বার প্রবেশের পর বর্তমান নিয়োগকর্তার অধীনে এক বছর কাজ করে থাকলে, কর্মীর কাছে লিখিতভাবে ওয়ার্ক কন্ট্রাক্ট থাকলে, কর্মী মন্ত্রণালয়ের কিওয়া পোর্টালের মাধ্যমে কোনো চাকরির প্রস্তাব পেলে এবং বর্তমান নিয়োগকর্তাকে চাকরি পরিবর্তনের ব্যাপারে নির্দিষ্ট সময় রেখে জানানো থাকলে চাকরি পরিবর্তন করতে পারবে।
এ ছাড়াও কোনো চাকরিদাতা চারটি পরিস্থিতিতে নতুন প্রবাসী কর্মীর শ্রমসেবা লাভ এবং চাকরি ট্রান্সফার করার অনুরোধ করতে পারবেন। এই চারটি পরিস্থিতি হলো
১. নিয়োগকর্তার প্রতিষ্ঠানটি নিয়ম ও শর্ত মোতাবেক ভিসাপ্রাপ্ত হওয়ার যোগ্য হলে।
২. প্রতিষ্ঠানটি ওয়েজ প্রোটেকশন প্রোগ্রামের সঙ্গে সহাবস্থানে থাকলে।
৩. প্রতিষ্ঠানটি শ্রমচুক্তি লিপিবদ্ধ ও ডিজিটাইজেশন প্রোগ্রামের সঙ্গে সম্মত থাকলে।
৪. প্রতিষ্ঠানটি স্বমূল্যয়ন প্রোগ্রামের সঙ্গে সম্মত হলে।