বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চাপের মুখে পদত্যাগ আর্মেনিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর

  •    
  • ১৭ নভেম্বর, ২০২০ ১৩:০৭

চুক্তির প্রতিবাদ ও প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ানের পদত্যাগের দাবিতে হাজার হাজার আর্মেনীয় বিক্ষোভ শুরু করেন। এতে পাশিনিয়ানের সরকারের ওপর চাপ বাড়তে থাকে। প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগে অস্বীকৃতি জানালেও তার পররাষ্ট্রমন্ত্রী চাপের মুখে পদত্যাগ করেছেন।

আর্মেনিয়ায় যুদ্ধবিরতির প্রতিবাদে চলমান আন্দোলনের মধ্যেই পদত্যাগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোহরাব ম্নাতসাকানিয়ান।

স্থানীয় সময় সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ফেসবুকে এক পোস্টে বিষয়টি জানিয়েছেন।

আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, গত সপ্তাহে বিরোধপূর্ণ নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চলে চলমান সংঘর্ষ নিরসনে রাশিয়া, আজারবাইজান ও আর্মেনিয়া যুদ্ধবিরতির চুক্তি করে।

চুক্তির প্রতিবাদ ও প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ানের পদত্যাগের দাবিতে হাজার হাজার আর্মেনীয় বিক্ষোভ শুরু করেন। এতে পাশিনিয়ানের সরকারের ওপর চাপ বাড়তে থাকে। প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগে অস্বীকৃতি জানালেও তার পররাষ্ট্রমন্ত্রী চাপের মুখে পদত্যাগ করেছেন।

যুদ্ধবিরতির আগে ছয় সপ্তাহ ধরে চলা সংঘর্ষে আর্মেনিয়ার সামরিক বাহিনীর দুই হাজার ৩০০ জনেরও বেশি সদস্য নিহত হন। তবে আজারবাইজানের পক্ষ থেকে হতাহতের তথ্য প্রকাশ করা হয়নি।

তিন দেশের মধ্যে সম্পাদিত ওই চুক্তিতে শুশা শহরসহ বেশ কিছু অঞ্চল আজারবাইজানের নিয়ন্ত্রণে থাকার কথা উল্লেখ করা হয়, যাকে বিশ্বাসঘাতকতা হিসেবে দেখছেন আর্মেনীয়রা।

চুক্তির মাধ্যমে অঞ্চল হাতছাড়া হওয়ার দায় নিজের কাঁধে নেন পাশিনিয়ান। আরও প্রাণহানি ঠেকাতে চুক্তি স্বাক্ষরে সম্মত হয়েছিলেন বলেও জানান তিনি।

শনিবার আর্মেনিয়ার জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার মাধ্যমে অবৈধভাবে ক্ষমতাচ্যুত করার পরিকল্পনা’ করায় বেশ কয়েকজন সাবেক কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এদিকে আর্মেনিয়ার রাজধানী ইয়েরেভানের রিজিয়নাল স্টাডিজ সেন্টারের গবেষক রিচার্ড গিরগাগসিয়ান দেশটিতে অস্থিতিশীলতা বাড়ার বিষয়ে সতর্ক করেছেন।

তিনি বলেন, ‘সংঘাতে যে ব্যাপক প্রাণহানি ঘটেছে, তা সামাল দিতে সরকারের উদ্যোগ পর্যাপ্ত ছিল না। উত্তেজনা বাড়ছে ও দুঃখজনকভাবে, পরিস্থিতি আরও অস্থিতিশীল হচ্ছে।’

নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চলটি আন্তর্জাতিকভাবে আজারবাইজানের অংশ হিসেবে স্বীকৃত। কিন্তু জাতিগত আর্মেনীয়রা ওই অঞ্চলে সংখ্যাগরিষ্ঠ। অঞ্চলটিতে আর্মেনীয়দের আজারবাইজানের শাসনের বিরোধিতা করা নিয়ে কয়েক দশক ধরে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ চলছে।

সামরিক মিত্র আর্মেনিয়ায় রাশিয়ার সামরিক ঘাঁটি রয়েছে। রাশিয়ার সঙ্গে আজারবাইজানেরও রয়েছে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। অন্যদিকে আজারবাইজানকে সমর্থন করে আসছে তুরস্ক।

এ বিভাগের আরো খবর